মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসিস

স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসিস

স্বদেশ ডেস্ক:

মস্তিষ্কে সাধারণত দুধরনের স্ট্রোক হয়- ইস্কেমিক স্ট্রোক, যেখানে মস্তিষ্কের মধ্যকার ধমনিগুলোয় রক্ত চলাচল কম হয়। আরেকটি হলো- হেমরেজিক স্ট্রোক, যেখানে মস্তিষ্কের মধ্যকার ধমনি ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হয়। বিভিন্ন কারণে স্ট্রোক হয়। যেমন- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, বেশি ওজন, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, নিদ্রাহীনতা, ব্রেইন টিউমার, হেড ইনজুরি, মেনিনজাইটিস, এইচআইভি, হেমাটোলজিকাল ডিজঅর্ডার ইত্যাদি।

এ রোগের উপসর্গ হচ্ছে- রোগীর এক পাশের হাত ও পা আংশিক প্যারালাইজড হয়ে যায়। রোগী আক্রান্ত হাত-পা নাড়াতে পারেন না। এমনকি ওপর ভর দিতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে মুখ বাঁকা হয়ে যায়। খাবার খেতে কষ্ট হয়। প্রস্রাব ও পায়খানায় নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অনেক সময় মাথা ব্যথা করে, বমি ভাব হয়। ঘুম স্বাভাবিকভাবে হয় না। আগের স্মৃতি ভুলে যাওয়া বা পরিচিতদের চিনতে না পারা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় খুব জরুরি। কারণ উভয় ধরনের স্ট্রোকের চিকিৎসার ধরন ভিন্ন এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

স্ট্রোক-পরবর্তী প্যারালাইসিস রোগীকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে আনতে ওষুধের পাশাপাশি প্রয়োজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। এতে রোগীকে সম্পূর্ণ পুনর্বাসন করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধায়নে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২ থেকে ৬ মাস নিয়মিত দিনে ৩-৪ বার থেরাপি চিকিৎসা নিয়ে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

পরামর্শ : রোগীকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা, ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য পরিহার, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং শেখানো ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877