আদান ইসলাম: কিউ কে আহমদ ফাউন্ডেশনের শিশুগ্রন্থাগার; একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ব্যাতিব্যস্ত ঢাকা শহরে ক’জনের সময় আছে শিশুদের নিয়ে ভাববার? এ শহরে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ প্রতিদিন দৌড়াচ্ছে জীবন আর জীবিকার প্রয়োজনে। তবুও দেশের কিছু সৎ ও উদ্যোগী আলোকিত মনের মানুষের কল্যাণে এরই মাঝে বাঁচে মানবতা।দেশ এগিয়ে যায় এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে। ড: কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এদেশের একজন জীবিত কিংবদন্তী। অর্থনীতি,পরিবেশ বিজ্ঞান,খেলাধুলা, সাহিত্য, কবিতা, গান, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড-কোথায় নেই তার অবদান? তা খুঁজে পাওয়া যাবে না। একে একে ঝুলিতে জমা হয়েছে মানব উন্নয়নের জন্য প্রাপ্ত সর্বোচ্চ সম্মান-‘একুশে পদক‘, স্বাধীনতা পদক এবং পরিবেশ পদক ।
ক্লাইমেট চেন্জ-এর উপর লিখিত বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত আইপিসিসির ফোর্থ এ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট-এর একজন লেখক এবং নোবেলের অংশীদার তিনি। যে রিপোর্টটি সর্বপ্রথম তথ্য প্রমাণসহ বিশ্ববাসীকে জানান দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমূদ্র পৃষ্ঠ উচ্চতার ফলে কি ধরণের বিপর্যয়ের শিকার হবে আগামীর পৃথিবী। তাঁর সুযোগ্য সন্তান হাভার্ড সাইন্টিস্ট ড. রুশদী আহমদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ড. কিউ কে আহমদ ফাউন্ডেশন । এ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রম যার মধ্যে অন্যতম শিশুদের নিয়ে তৈরী প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘দাদা ও নাতীর আলাপন‘ এবং ‘কিউ কে ও জাহেদা আহমদ লাইব্রেরি‘।
নিকেতনের ডি ব্লকে ৮ নম্বর রোড ও ৫০ নম্বর বাড়ীর দোতালায় অবস্থিত লাইব্রেরীটি শিশুদের জন্য এক স্বর্গরাজ্য। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গ্রন্থাগারটিতে বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল মুভি ও ডকুমেন্টরী দেখানোরও ব্যাবস্থা রয়েছে যেখানে প্রায় দেড়শো শিশু একসাথে বসে উপভোগ করতে পারবে বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয়ক প্রদর্শনী।আমার ক্যারিয়ার এর দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় কেটেছে এ মহামানবটির নিবিড় সাহচর্যে। গতবছর দেশে ফিরে ভিক্ষুকমুক্ত ইউনিয়ন প্রকল্প দেখতে গিয়েছিলাম নেত্রকোনায়। এ বছরও দেশে ফিরে প্রতিবছরের মতো প্রথমেই ছুটে গিয়েছিলাম কিউ কে স্যারের কাছে জানতে এবং নতুন কোন উদ্যোগের সন্ধান পেতে এবং বরাবরের মতো এবারও মুগ্ধ হতে হলো বয়সে আশির ঘরে পা রাখা এ চিরতরুণের কার্যক্রমে…..! কর্মময় শতায়ু হোক আমাদের প্রিয় স্যার। তার প্রতি রইলো শুভেচ্ছা নিরন্তর।