ইসমাইল হোসেন বাবু: লং আইল্যান্ডের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্ক ফিল্ড- ৬ এ অত্যান্ত মনোরম পরিবেশে প্রবাসের অন্যতম সংগঠন পদ্মা ইয়োলো সোসাইটি‘র বিপুল সংখ্যক সদস্য পরিবার ও অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক বনভোজন- ২০১৯ । জ্যাকসন হাইটস থেকে বাস ও গাড়ি নিয়ে পার্ক -র উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয় সকাল ৯:৩০ মিনিটে। সবাইকে রাঁধুনী রেস্টুরেন্ট-এ তৈরী সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হয় । বনভোজন অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি শেখ মো: ফারুকুল ইসলাম পিকনিক-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন এবং সাধারন সম্পাদক রজত নাগ ও আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন বাবু শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন । অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ত্বে ছিলেন বাবু সুব্রত পাল, বিমল কর জাহিদুল ইসলাম ও ইমরানুল হাসান স্বপন। উপস্থিত সবাইকে তরমুজ ও চিপস দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় । এরপর শুরু হয় খেলাধুলার ইভেন্ট- প্রথমেই ছোট ছোট বাচ্চা ও যুবক-যুবতীরা দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে- প্রতিযোগীতায় বিচারক মন্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন বিমল কর, আকমানউজজামান শেখ ,হাওলাদার শাহীনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, সুব্রত পাল ও সুকুমার ঘোষ । মহিলাদের মার্বেল দৌড় এবং আকর্ষনীয় বালিশ বদল খেলায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন বাবু বিমল কর, তানভীর চৌধুরী অপু, আকমানউজজামান ও হাওলাদার শাহীন । ফুটবল ও ভলিবল খেলায় দুটি দল অংশগ্রহণ করেন ।
সবাইকে দুপুরের খাবার এবং স্বুসাদু পায়েস ও মিষ্টি পরিবেশন করা হয় । দুপুরের খাবার শেষে প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তরিকুল ইসলাম হদয় এবং প্রবাসের অন্যতম শিল্পি বাপ্পী সোম তিনি তার সুমধুরকন্ঠে চমৎকার চমৎকার গান শুনিয়ে সবাইকে বিমোহিত করেন। বিকালে অত্যন্ত মজাদার ও মুখরোচক ঝালমুড়ি পরিবেশন করেন ইসমাইল হোসেন বাবু ও তার সহধর্মিনী হালীমা হোসেন। পিকনিক এ সংগঠনের সদস্যরা ছাড়াও উপস্হিত ছিলেন প্রধান অতিথী, এ্যাড এন্ড টেক ও দেশী কুজিন-এর স্বত্তাধীকারী জনাব মীর্জা হুদা, কমিউনিটির নেতৃবন্দসহ প্রবাসের অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ । তাদেরকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন সভাপতি শেখ মো: ফারুকুল ইসলাম। অতিথিরা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংগঠনটির ভুয়াসী প্রশংসা করেন এবং আগামীতেও তারা পদ্মা ইয়োলো সোসাইটির পাশে থাকবেন বলে অংগীকার করেন । এতে সবাই করতালীর মাধ্যমে তাদেরকে স্বাগত জানান । মিউজিক ও সাউন্ড সিস্টেম এ ছিলেন বাপ্পী সোম ।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয় এবং ১০ জন নতুন সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় । সংগঠনকে সুসংহত রাখার জন্য যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী বিবেচনা করে দুজনকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরা হলেন যথাক্রমে: সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ প্রধান উপদেষ্টা জাসীব আলম এবং কনভেনর হিসাবে ইসমাইল হোসেন বাবু। এদের দুজনকে সম্মামনা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় ।
সবশেষে ছিল বনভোজনের সবচেয়ে ১১টি আকর্ষনীয় পুরস্কার নিয়ে র্যাফেল ড্র। বিমল কর ও জাসীব আলম রেকর্ড সংখ্যক টিকেট বিক্রি করার গৌরব অর্জন করেন। ড্র পরিচালনা করেন বাবু বিমল কর। ড্র’র পুরস্কারগুলি ছিলো যথাক্রমে: প্রথম পুরস্কার ঢাকা নিউইয়র্ক ঢাকা-সৌজন্যে এ্যাড এন্ড টেক, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫৫” এল ই ডি টিভি-সৌজন্যে রাধুনী রেস্টুরেনট, তৃতীয় পুরস্কার ল্যাপটপ-সৌজন্যে এটর্নি মঈন চৌধুরী, চতুর্থ পুরস্কার ট্যাবলেট-সৌজন্যে ইউনাইটেড অটো, পঞ্চম পুরস্কার ৩২”এল ইডি টিভি-সৌজন্যে আশরাফুল ইসলাম (জংগী )। এ ছাড়াও ফ্যামিলি কেয়ার আর এক্স হিলসাইড, জসীম চৌধুরী টি এল সি রিপ্রেসেনটিভ সহ আরও অনেকে স্পন্সর করেন।
র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান শেষে পিকনিক কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন বাবু ,সাধারন সম্পাদক রজত নাগ ও সভাপতি শেখ মো: ফারুকুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং সবাইকে পিকনিক এ উপস্থিত থেকে একটি সুন্দর ও স্বার্থক পিকনিক উপহার দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে আগামীতে সবার সাহায্য ও সহযোগীতা কামনা করে পিকনিক এর সমাপ্তি ঘোষনা করা হয় ।