স্বদেশ ডেস্ক:
এলাকায় তিনি পরিচিত স্কুলশিক্ষক হিসেবে। কিন্তু আড়ালে তিনি করতেন ইয়াবার কারবার। তার ‘পরিচয়’ একটি মোবাইল নম্বর। যে নম্বরে ফোন করলেই তিনি হাজির হন ইয়াবা নিয়ে। আর ইয়াবার ডেলিভারি হওয়ার পরপরই পাল্টে ফেলেন সেই নম্বর। এই লাইনে তার পরিচয় দুলাভাই হিসেবে। তার আসল নাম জয়নাল আবেদীন (৪২)। তাকে এলাকার কেউ না চিনলেও পুলিশ ঠিকই চিনেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর দেওয়ানহাট মোড় থেকে ২১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবাসহ জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে নগদ সাড়ে আট লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তার আরও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জয়নাল আবেদীন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার জুলহারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম-মো. সিদ্দিক আহমেদ। গ্রেপ্তার দুই সহযোগী হলেন তার শ্যালক মো. মোবারক হোসেন ও মো. রেজাউল করিম দিদার।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (পশ্চিম) পংকজ দত্ত বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে দেওয়ানহাট মোড়ের মুম্বাই সুইটস দোকানের সামনে থেকে জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে তার দুই সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার করার সময় ২১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা এবং সাড়ে আট লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, জয়নাল আবেদীন ইয়াবার কারবারি। তাকে সবাই চেনে দুলাভাই নামে। তার নাম কেউ জানেন না, কেউ কখনো দেখেওনি তাকে। শুধু একটি মোবাইল নাম্বারই ছিল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার পরিচয়। সেই নাম্বারে ফোন করলেই তিনি ইয়াবা নিয়ে হাজির হতেন। ইয়াবা দিয়ে সেই নাম্বার আবারও পাল্টে ফেলতেন। দুইদিন আগে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় ২২ হাজার পিস ইয়াবাসহ চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তারের পর উঠে আসে এই দুলাভাইয়ের নাম।
তিনি বলেন, ইয়াবার কারবারি হলেও তার ইয়াবা কারবারের ঘটনা এলাকাবাসী জানেন না। এলাকায় তিনি স্কুলশিক্ষক হিসেবে পরিচিত। তিনি খুরুস্কুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু এর আগেও একবার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল আবেদীন জানান, তিনি মূলত কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে নিজের কাছে মজুদ করেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান।