রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আলজাজিরার প্রতিবেদন: ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে বাংলাদেশি রোগীরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হল সভাপতি সজিব গ্রেফতার বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে জোরদার হচ্ছে অভিযান আইসিউতে মুশফিক ফারহান সাবেক প্রতিমন্ত্রীর চাচাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটুনি ফ্যাসিবাদের ঘৃণাস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আগামী সোমবার লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ১২০ দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন
বিদ্যুৎ খাতের জন্য দেশ বিপদের মুখে পড়বে, আশঙ্কা বিএনপির

বিদ্যুৎ খাতের জন্য দেশ বিপদের মুখে পড়বে, আশঙ্কা বিএনপির

স্বদেশ ডেস্ক:

দেশ বিদ্যুৎ খাতের জন্য আগামী ২০২৭ সালে বিপদের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন সাসটেইনেবল (টেকসই) নয়, যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।

আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎখাতের পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যায়ন তুলে ধরা হয় এই সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যুৎ তো দেখা যায় না। বিদ্যুৎ তো হাওয়া। আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ খাতকে ব্যবসার খাত এবং লুটপাট করার মেশিন বানিয়েছিল বলে জানান টুকু।

তিনি দাবি করেন, আওয়ামী সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাত থেকে পাঁচ শ’ মিলিয়ন ডলার আর ক্যাপাসিটি চার্জের নামে এক লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠরা। যার পেছনে সামিটসহ পাঁচটি কোম্পানি জড়িত বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। সরকারকে দ্রুত এসব চুক্তি প্রকাশ করতে হবে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে বিগত সরকার। ডিস্ট্রিবিউশন নামে নিজেরদের নামে কোম্পানি বানিয়ে লুট করেছে।’

টুকু বলেন, বিএনপি সরকার থাকতে ৬০ শতাংশ যেত সরকারি খাতে আর ৪০ শতাংশ যেত বেসরকারি খাতে। সরকারি মালিকানার পাওয়ার প্লান্টগুলো কিছু করা হয়নি। তারা ৮০ শতাংশ বেসরকারি মালিকানা দিয়ে টাকা কামাই করেছে।

‘বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের প্রথম কাজ হলো বিদ্যুৎ খাতকে টেন্ডার করে দেয়া। টেন্ডার হলে আমরা জানতে পারি। ক্যাপাসিটি চার্জ কত এটা নির্ধারণ করতে পারি,’ জানান তিনি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিগত সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি জনগণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিগত সরকারের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনিয়ম এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ দুর্নীতির চিত্র ভেসে উঠেছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ এবং ঘুষের মাধ্যমে টেন্ডার দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে টেন্ডারের বাইরে যে চুক্তিগুলো হয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করা জনগণের দাবি বলে জানান তিনি।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের সব চুক্তি রিভিউ করবে বিএনপি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877