স্বদেশ ডেস্ক:
পাহাড়ধসের আশঙ্কায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতে টানা তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়কটি। কিন্তু বন্ধ করার এক সপ্তাহ না যেতেই গতকাল মঙ্গলবার খুলে দেওয়া হয়েছে সড়কটি। নগরীর ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী সব সড়কে যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত চাপ কমাতে গতকাল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে, টানা বৃষ্টিতে সড়কটির আশপাশের একাধিক পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় গত ৮ জুন থেকে তিন মাসের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (সিডিএ)।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট বাইপাস এলাকা থেকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত সিডিএ-এর নির্মিত এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে একটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ছয়টি সেতু ও বেশ কয়েকটি কালভার্ট। প্রকল্পের ৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে কাটা হয় ১৬টি পাহাড়। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন নেওয়া হলেও ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কেটে ১০ কোটি টাকা জরিমানাও গুনতে হয় সিডিএকে। এর পরও ঝুঁকিপূর্ণ খাড়া পাহাড়গুলো নতুন করে কাটার জন্য গত বছরের ২৩ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরে তিন লাখ ৩২ হাজার ঘনমিটার পাহাড় কাটার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায় সিডিএ।
চিঠি পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো কাটা ও সংরক্ষণের বিষয়ে সিডিএর কাছে বিশেষজ্ঞ মতামতসহ প্রতিবেদন চায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এ নিয়ে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে প্রকল্পটির পরিচালক ও চুয়েটের দুই শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠন করা হয় চার সদস্যের কমিটি। প্রতিবেদনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিডিএ।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, পাহাড়ধসের শঙ্কা ও নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এতে নগরীর জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেট ও খুলশী এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে বিভিন্ন মহলের সুপারিশে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সড়ক খুলে দেওয়া হলেও এর দুই পাশের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে। এ ছাড়া সড়কটির মাঝখানে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা রয়েছে, সেখানের একটি অংশে কাজ চলছে। তাই ওই অংশের দুটি লেন বন্ধ থাকবে।