শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ২৮০ কিমি সাইকেল চালালেন স্কুলশিক্ষিকা

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ২৮০ কিমি সাইকেল চালালেন স্কুলশিক্ষিকা

স্বদেশ ডেস্ক:

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ২৮০ কিমি বাইসাইকেল চালিয়ে বগুড়ার আদমদীঘির নিজ বাড়িতে এসেছেন নারী শিক্ষক মৌসুমী আক্তার এপি। এই লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফেরার এই কর্মযজ্ঞের বিষয়টি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি পেয়ে মৌসুমি আক্তার এপি বাইসাইকেল চালিয়ে একটানা ২৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। একজন নারী হয়ে এত বড় একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করায় অবাক এলাকাবাসী। এমন সাহসিকতাকে স্বাগত জানিয়েছেন তার সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা।

জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের রথবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম তালুকদারের মেয়ে মৌসুমি আক্তার এপি। থাকেন ঢাকার গোলাপবাগে। সেখানে বনানীর চিটাগাং গ্রামার স্কুল ঢাকা’ নামের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি পেয়ে বাড়ি ফেরা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন। লকডাউনের কারণে ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় এবং করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে গণপরিবহন এড়িয়ে বাইসাইকেলে তিনি বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

এরপর গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় ঢাকার গোলাপবাগ থেকে বাইসাইকেলে তিনি রওনা দেন। জাহাঙ্গীর নগরে তার সঙ্গে যোগ দেন সিরাজগঞ্জের মীর রাসেল নামে অনার্সের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। এরপর সেখান থেকে তারা দু’জনে একটানা বাইসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাসেলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভূঁইয়াগাতি পৌঁছান। রাসেল বাড়ি ফিরলে এপি সেখানে একা হয়ে যান।

এবার তিনি একাই টানা বাইসাইকেল চালিয়ে পৌঁছেন বগুড়ায়। বগুড়ায় বন্ধু মালার বাসায় যাত্রাবিরতি নেন। সেখানে সাহরি শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তিনি সান্তাহারের উদ্দেশে রওনা করেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে যাত্রায় কিছুটা বিঘ্ন  ঘটলেও থেমে যাননি তিনি। ১৪ ঘণ্টা সাইকেল চালানোর পরের দিন পৌঁছে যান সান্তাহারে। এভাবেই তিনি বাইসাইকেলে বাড়ি ফেরার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।

মৌসুমি আক্তার এপি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় অন্য কোনো যানবাহনে যেতে চাইলে গাদাগাদি করেই বাড়ি ফিরতে হবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বাড়ি ফিরতে এমন উদ্যোগ নিই। তাছাড়া বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরা অনেক দিনের শখও ছিল। মনের শক্তির কারণে রোজা রেখে বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়েছে।’

এ বিষয়ে সান্তাহার পৌরসভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন বলেন, ‘এপি একজন নারী হয়ে যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্খাপন করেছেন। তার এমন সাহসিকতা অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণাও হয়ে থাকবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877