স্বদেশ ডেস্ক: কোনো মৃত ব্যক্তির বীর্যের উপর কেবল তার স্ত্রীরই অধিকার রয়েছে বলে যুগান্তকারী এক রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়কে ঘিরে সামাজিক জীবনে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত পুত্রের সংরক্ষিত বীর্যের উপর অধিকার চেয়ে গত বছর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেনে এক বাবা। সেই মামলাতেই এমন রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত বছরের মার্চ মাসে ওই মৃত ব্যক্তির বাবা আদালতে জানান, তাদের পুত্রবধূ ছেলের বীর্য তাদের দিতে অস্বীকার করেছেন। যদি পুত্রের বীর্য নষ্ট করে দেওয়া হয় তাহলে তারা তাদের বংশধরকে হারাবেন। এই আশঙ্কাতেই আদালতের দ্বারস্থ হন বাবা। উল্লেখ্য,মৃত্যুর আগে ছেলের বীর্য দিল্লিতে সংরক্ষিত করে রাখা রয়েছে। পুত্রের পিতৃত্বের অধিকারের দাবি জানান বাবা।
এই মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ ধরনের অনুমতির জন্য মামলাকারীর কোনো মৌলিক অধিকার নেই।’ একইসঙ্গে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির যখন মৃত্যু হয়েছিল, তিনি বিবাহিত ছিলেন। ফলে দিল্লি হাসপাতালে যে মৃত ব্যক্তির বীর্য সংরক্ষিত রয়েছে, তার কেবল অধিকার রয়েছে তার স্ত্রীরই,অন্য কারও নয়।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট হন মৃত ব্যক্তি। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি দিল্লিরই এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ওই ব্যক্তির বিয়ে হয়। তার শারীরিক অবস্থার কথা সকলকে জানিয়েই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। এর কয়েক মাস পর নবদম্পতি পশ্চিম মেদিনীপুরে চলে আসেন। সেখানকার এক স্থানীয় কলেজে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত হন ওই ব্যক্তি। ২০১৮ সালে হঠাৎ ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।