মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পর্যটক সামলাতে দেয়াল তুলছে জাপান ঢাবিতে গোলাম মাওলা রনির ওপর হামলা টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র, একাদশে যারা আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হয়নি: ওবায়দুল কাদের অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে কৃষি খাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী ভিকারুননিসায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকতে পারে : সিইসি সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যে বার্তা দিচ্ছে শিয়ালের টানাহেঁচড়া দেখে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল এক নারী ও দুই শিশুর লাশ
ধর্ষণে মৃত্যুণ্ডের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠছে আজ

ধর্ষণে মৃত্যুণ্ডের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠছে আজ

স্বদেশ ডেস্ক:

দেশব্যাপী একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সংশোধিত আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের বিধান রাখা হচ্ছে। সংশোধিত খসড়া আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠছে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তা কার্যকরের জন্য পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে আইন ও বিচার বিভাগ।

সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এর আগে-পরে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন মহল থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- করার দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০০০ সালে প্রণীত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’-এর ৯(১) ধারায় পরিবর্তন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদ- থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদ- করতে যাচ্ছে। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন পাবে বলে জানা গেছে। তবে এ আইনের অন্য কোনো ধারা সংশোধন করা হবে কিনা তা জানা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- করার সুপারিশ করা হয়েছে। আইনটির সংশোধিত খসড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ প্রস্তাব করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

৯(১) ধারায় বলা আছে- যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তা হলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ে দ-নীয় হবেন এবং এর অতিরিক্তি অর্থদ-ে দ-নীয় হবেন। ৯(২) ধারায় বলা আছে- যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদ-ে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ে দ-নীয় হবেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মৃত্যুদ-ের বিধান করলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে না। বরং বর্তমান আইনকে যদি কার্যকর করা যেত তা হলেই ধর্ষণ বহুলাংশে কমে যেত। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় ধর্ষণকারীরা পার পেয়ে যায় এবং অন্যরা তাতে উৎসাহিত হয়। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

মৃত্যুদ-ের বিধান যুক্ত করা নিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সরকার আইন যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে। এটি করলে দ্রুতই করতে হবে। শুধু আইন সংশোধন করলেই হবে না, দ্রুতগতিতে বিচার শেষ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ এলে দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে। বিচার শুরু হলে সেটি মুলতবি করা যাবে না। প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, দিন দিন এমন ঘটনা ঘটার ফলে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877