বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা র‌্যাবকে অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা : হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে ‘নির্দেশ একটাই রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না’ সিইসিসহ ৫ ইসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে: এনসিপি স্ত্রী-মেয়েসহ আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ দ্রুত নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩ সিনেটর-এমপির চিঠি শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই ‘টুকরো টুকরো হওয়ার শঙ্কায় সিরিয়া, গৃহযুদ্ধ আসন্ন’

খুলনার আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা!

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ জুন, ২০১৯

স্বদেশ ডেস্ক: অভিনব পন্থায় খুলনার আবাসিক হোটেলগুলোতে রমরমা দেহব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। কৌশলে যৌনকর্মীদেরকে হোটেলের আয়া ও বাবুর্চি সাজিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে এ ব্যবসা। খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানা, সদর থানা ও খালিশপুর থানাধীন (আংশিক) এলাকাজুড়ে ১১২২ জন যৌনকর্মী রয়েছে। এর বাইরে নিরালা, সোনাডাঙ্গা, ময়লাপোতা, ডালমিল মোড়, রূপসা মোড়, খালিশপুর এলাকায় বিউটি পার্লার ও একাধিক আবাসিক ভাড়া বাড়িতে গড়ে উঠেছে এসব মিনি পতিতালয়। সেক্ষেত্রে পেশাদার ও অপেশাদার মিলিয়ে যৌনকর্মীর সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি। প্রতি বছর হাজারের উপরে যৌনকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দারিদ্র্যতা ও কর্মসংস্থানের অভাবে সংসারে সচ্ছলতা আনতে নারীরা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছেন। সমপ্রতি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কয়েকটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে পুরুষ ও মহিলাসহ ৯ জনকে আটক করে। অভিযানটি ঝিমিয়ে পড়ায় কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় পুনরায় এই দেহ ব্যবসাটি অভিনব পন্থায় পরিচালনা করা হচ্ছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জানান, আবাসিক হোটেল আর ভাড়াবাড়িতে যারাই এই অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ধরনের কোনো তথ্য থাকলে জানিয়ে সহযোগিতা করুন। সমাজ সুরক্ষায় হোটেলগুলোতে প্রয়োজনে বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্জয় নারী সংঘের সর্বশেষ ২০০৪ সালের হিসাব অনুযায়ী নগরীতে পেশাদার যৌনকর্মী ছিল ৩ হাজার ৫০০ জন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সর্বশেষ ২০০৫ সালের তথ্য অনুযায়ী নগরীতে অপেশাদার যৌনকর্মী রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ জন। এ ছাড়া রয়েছে ভ্রাম্যমাণ যৌনকর্মী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করে তারা চলে যায়। শহর সংলগ্ন বিভিন্ন উপজেলা এবং বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের অভাবী মেয়েরা যৌনকাজে লিপ্ত হচ্ছে। তারা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় শহরে আসছে এবং কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের গোপন প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, নগরীর বড়বাজার হেলাতলা এলাকায় হোটেল সোসাইটি। এ হোটেলের মালিক এসএম আলম। হোটেলের ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে হোটেল আর্কেডিয়া, হোটেল আজম হোসেন ইন্টারন্যাশনাল থানার সামনে হোটেল স্টার, ফেরিঘাট মওসুমী আবাসিক হোটেল, লোয়ার যশোর রোডের সোনার বাংলা আবাসিক হোটেল, হোটেল বসুন্ধরা, হোটেল আমিনা, হোটেল সোহাগ মিলন, হোটেল শাহীন, হোটেল কদর, হোটেল সুফি, খুলনা হোটেল, হোটেল আরাম, বৈশাখী হোটেল, সুন্দরবন হোটেল, হোটেল পার্ক, হোটেল আরাফাত, বরিশাল হোটেল, হোটেল মুন, হোটেল প্যারাডাইস, সাতক্ষীরা হোটেল, হোটেল সানলাইট, হোটেল সানডে, হোটেল গোল্ডেন কিং, হোটেল মালেক গার্ডেন, হোটেল জেলিকো, হোটেল এনিটাসহ নগরীর শতাধিক হোটেলেই দেহ ব্যবসা হচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ