স্বদেশ ডেস্ক:
হামাস ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে চার দিনের বিরতি চলছে। এরই মধ্যে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত ইসরাইল থামবে না।
শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়োভ গ্যালান্ট ইসরাইল সরকারের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুধুমাত্র একটি ‘সংক্ষিপ্ত বিরতি’। এর পরে ইসরাইল ‘পূর্ণ সামরিক শক্তি’ নিয়ে আবার হামলা শুরু করবে।
তেল আবিবে সফররত ইতালীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ইয়োভ গ্যালান্ট আরো বলেন, হামাসের ধ্বংস এবং গাজা থেকে বন্দীদের ইসরাইলে ফিরিয়ে আনা- এই লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা থামব না।
শুক্রবার থেকে দীর্ঘ নাটকীয়তার পর চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজা উপত্যকায়।
বৃহস্পতিবার কাতারে দুই পক্ষের মধ্যকার সমঝোতার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। ইসরাইল, হামাস, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো চূড়ান্ত হয়।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা