স্বদেশ ডেস্ক:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া সমাধানের পাশাপাশি ভিসামুক্ত ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রত্যাশা করছে উভয় দেশ।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেটে ৪ দিনব্যাপী ১১ তম ‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়ে নীতিগতভাবে বাংলাদেশ ও ভারত একমত। কোনো কারণে এটি আটকে আছে, সময়ের সাথে সেটি ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ঐতিহাসিক পদাঙ্ক অনুসরণ করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক, সামাজিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জনে উভয় দেশ কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া সমাধানের পাশাপাশি ভিসামুক্ত ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রত্যাশা করছে উভয় দেশ।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এখন ৩৫তম লার্জেস্ট ইকোনমির দেশ। বাংলাদেশের জিডিপি ৯০ বিলিয়ন থেকে ৪৬০ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক যাচ্ছে ভারতে যা ভারতের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগরের গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপ’ উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। বাংলাদেশ-ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে স্পিকার জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারতের আরো সহযোগিতা প্রয়োজন। সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এবং উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা উন্নয়নের স্বার্থে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো এই সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে ৬ জন মন্ত্রী, ২০ জন সংসদ সদস্যসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। সংলাপ উপলক্ষে ভারত থেকে ১৪০ জনের প্রতিনিধি দল সিলেটে এসেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ভারতের সাবেক মন্ত্রী শ্রী এম জে আকবর ও ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আগামী ৬ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী কে এম খালিদ। ৭ অক্টোবর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। পরে ৮ অক্টোবর সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন দুদেশের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
সূত্র : বাসস