বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

আমদানি করলে ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খাওয়ানোর হুঁশিয়ারি

আমদানি করলে ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খাওয়ানোর হুঁশিয়ারি

স্বদেশ ডেস্ক:

ডিম আমদানি করা হলে ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘পোল্ট্রি শিল্পে সঙ্কট, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা ও ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ হ্রাসে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা।

অনুষ্ঠানে বিএবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আমদানি করে ডিমের দাম কমাতে চাইলে উল্টো আরো দাম বাড়বে। তখন ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিমের উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা। তার সাথে ৫ শতাংশ মুনাফায় বিক্রি করার নির্দেশনা নিয়েছে খামারিদের। সব মিলিয়ে ডিম ১২ টাকা বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা সরকারের এই নির্দেশনা মানবো। আমরা চাই ভোক্তারা ১২ টাকায় ডিম পাক। বছরের পর বছর লাভ-লস দিয়ে ব্যবসায় টিকে আছি। আমরা যেন এই ব্যবসায় টিকে থাকতে পারি।

তারা বলেন, মুরগির ফিডের দাম না কমালে ডিমের উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব না। এজন্য ফিডের আমদানি মূল্য কমানোর দাবি জানাই।

হঠাৎ করে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে দাবি করেন বিএবি নেতারা।

বিএবি’র সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বলেন, লেয়ার মুরগির চাহিদা ১১ লাখ থেকে কমে হয়েছে সাড়ে ৯ লাখ। ডিম-মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট! এমন অপপ্রচার ছড়ানোর কারণে বিভ্রান্তি দিন দিন আরো ঘনীভূত হয়েছে। তাছাড়া ‘প্রান্তিক খামারি’ বনাম ‘করপোরেট খামারি’র বিতর্ক সৃষ্টির মাধ্যমেও দেশীয় খামারি ও উদ্যোক্তাদের অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অপচেষ্টা হচ্ছে।

ডিম-মুরগি আমদানি করা হলে তা দেশেরই ক্ষতি করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একদিন বয়সী ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার সাপ্তাহিক চাহিদা ছিল প্রায় ১ কোটি ৭০-৮০ লাখ, বর্তমানে তা ১ কোটি ৩০ লাখে নেমে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উৎপাদন খরচের বিপরীতে ন্যায্য দাম না পাওয়া, অপপ্রচার এবং বাজার তদারকি সংস্থার চাপের কারণে পোল্ট্রি খাতের প্রান্তিক খামারিরা আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে, কমেছে উৎপাদন। এ অবস্থা চলতে থাকলে ডিম-গোশতের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, দেখা দেবে পুষ্টি ঘাটতি।

১০ টাকার নিচে ডিম আসবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ভারতে ডিমের দাম কম। কারণ, সেই দেশের খাদ্যের দাম কম। কিন্তু আমাদের দেশের মুরগির খাদ্যের দাম অনেক বেশি। ফলে ১০ টাকার নিচে ডিম খাওয়ার সুযোগ দেখছি না। ডিমের দাম কমাতে হলে ডলারের দাম ১০০ টাকার নিচে আসতে হবে। খাদ্যে দাম কমাতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সহ-সভাপতি মো: তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুধীর চৌধুরী, ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877