স্বদেশ ডেস্ক: নিজের ধৈর্যের উপর অবাক নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। বলেছেন, ‘ধৈর্য অনেক হইসে। কেন জানি ধৈর্যটা বাইড়া গেল। নিজেও মাঝে মাঝে অবাক হই, আমি শামীম এত ধৈর্য ধরি কেমনে?’
মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় কর্মীসভায় এ কথা বলে তিনি।
এ সময় বিনা অপরাধে কোনো নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিলে ‘লেবেনচুস চুষবেন না’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন এই সংসদ সদস্য। বলেন, ‘কারও ক্ষমতা থাকলে, মারতে পারলে মাইরা দেন। কিন্তু বিনা অপরাধে নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিবেন আর বসে বসে লেবেনচুস চুষব, এটা হবে না। আমাদের কাজ হচ্ছে সুসংগঠিত থাকা আর যারা গেম খেলতে চায় তাদের বুঝিয়ে দেওয়া যে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ছিল, আছে -থাকবে।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি সবকিছু সহ্য করতে পারি কিন্তু আমার কর্মীর গায়ে হাত দেওয়া সহ্য করতে পারি না। আল্লাহর নামে কসম খেয়ে বলতাছি, বিনা কারণে আমার কর্মীর গায়ে হাত দিবা আর পার পাইয়া যাইবা- না।’
‘আবার খেলা হচ্ছে’ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ ৭৪ জন নেতা–কর্মীর নামে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সব আমাদের লোক। তার মধ্যে থার্টি পার্সেন্ট প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এই নামগুলো দিল কারা? সিদ্ধিরগঞ্জ কিন্তু নারায়ণগঞ্জের গোপালগঞ্জ। ভোটের রাজনীতিতে সিদ্ধিরগঞ্জ সব সময় নারায়ণগঞ্জের গোপালগঞ্জ। ভোটের সময় সিদ্ধিরগঞ্জ নৌকা মার্কার পক্ষে এক। ওই জায়গাটা নষ্ট করার অপপ্রয়াস চলছে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘সেখানে আরও কিছু নেতাকর্মীকে টার্গেট করা হচ্ছে যারা রাজপথ থেকে তৈরি হয়ে আসা নেতা। কাউন্সিলর, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, তরুণ আওয়ামী লীগের নেতা যারা আছে তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। যেখানে জানানোর দরকার জানাচ্ছি। যেখানে বলার দরকার বলছি। প্রবলেমটা হইছে সরকারি দল। সরকারি দল না হইলে এত বড় বড় সিনিয়র নেতা দরকার ছিল না। শুধু তোলারাম কলেজের ছাত্রদের দিয়াই হইয়া যাইত। যে কর্মীরা আমার জন্য এত কিছু করছে তাদের কেউ বিনা কারণে আঁচড় দিয়া দিবে, তাদের নামে বদনামের সিল লাগায়ে দিবে? না! আওয়ামী লীগকে বদনাম করার চেষ্টা করলে চলবে না। আমরা সবাই শেখ হাসিনার কর্মী।’
নিজের চাওয়া-পাওয়া শেষ উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘দেশ সামনের দিকে আগাচ্ছে। তিনবার এমপি হইছি। এমপি তো অনেক চোর-চোট্টাও হইছে। এটা আমার চাওয়া না।’
এ সময় নিজ আসনে আগামী শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জনসভা করার ঘোষণা দেন শামীম ওসমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন আক্তার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজিমউদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির প্রমুখ।