রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!
ধানের দাম ৫০০ টাকা, চালের দাম এত কেন, প্রশ্ন কৃষকদের

ধানের দাম ৫০০ টাকা, চালের দাম এত কেন, প্রশ্ন কৃষকদের

স্বদেশ ডেস্ক:

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চলতি বছর রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। প্রতি মণ ধান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে বলে দাবি উপজেলা কৃষি দপ্তরের। অন্য দিকে কৃষকদের প্রশ্ন বাজারে চালের এত দাম, তাহলে ধানের দামের শোচনীয় অবস্থা কেনো।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া, দক্ষিণ দাসপাড়া, গছানী ও বহরমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠভরা পাকা ধান। চাষিরা বলছেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, তবে ন্যায্য দাম নিয়ে চিন্তায় রয়েছে তারা। বাম্পার ফলন আশা করলেও গত বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতার কারণে এ বছরও ধানের মূল্য নিয়ে শঙ্কিত তারা। তাদের দাবি, ধানের সঠিক দাম পেতে এখন থেকেই সরকারি তৎপরতা শুরু করা হোক।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। মাঠ ঘুরেও এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। তবে অসময়ের বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বেশ কিছু জমির ফসল ডুবে গেলেও সেগুলো নিয়ে চিন্তিত নয় কৃষি বিভাগ। তাদের দাবি- বন্যায় নিচু জমির ধান ডুবে গেলেও বন্যার স্থায়িত্ব কম থাকায় তেমন একটা ক্ষতি হয়নি আমনের।

এ ব্যাপারে উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের কৃষক ইউনুছ তালুকদার, নশা মিয়া, আলতাব হোসেন ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাস পাড়া গ্রামের সঙ্কর চন্দ্র, মজিদ হাওলাদার ও জামাল হোমেন জানান, তারা সবাই বর্গাচাষি। প্রতি বছর চার-পাঁচ একর জমি চাষ করেন তারা। কীটনাশক, সার, সেচের পানি, শ্রমিকের মজুরি, মজুদ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতের ক্রমবর্ধমান খরচের পর ধানের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ বাজারদর তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। তাদের প্রশ্ন হলো ধানের দাম এত কম হলে বাজারে চালের দাম এত বেশি কেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ বলেন, এ বছর আমাদের আমন ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। ধানের দাম প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, কৃষকরা যদি ধানের ন্যায্যমূল্য পান তাহলেই উৎপাদন বাড়বে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877