শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম টেস্ট : দুই সেশনে টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪০

চট্টগ্রাম টেস্ট : দুই সেশনে টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪০

স্পোর্টস ডেস্ক:
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ। প্রথম সেশনে খেলা হয়েছিল ২৯ ওভার। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৯, এ সময়ে টাইগাররা হারিয়েছিল ২ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনেও খেলা হয়েছে ২৯ ওভার। এ সেশনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৭১।

প্রথম দিনের দুই সেশন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪০। ক্রিজে আছেন ১৯ বলে ৯ রান নিয়ে মুসফিক ও ৭ বলে ৩ রান নিয়ে সাকিব আল হাসান।

দিনের শুরুর দিকে তামিম ফেরেন বোল্ড হয়ে। এর পর রান আউটের শিকার নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিমের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছে এমন বোল্ড হতাশা জাগিয়েছে। অন্যদিকে টেস্ট ম্যাচে যেখানে ধীর স্থিরই মুখ্য। সেখানে শান্তর রান আউট ভক্তদের আক্ষেপ বাড়িয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে সাদমানকেই দায়ী করা যায়। কারণ দ্বিতীয় রান নেয়ার ব্যাপারে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না শান্ত।

এর পর মুমিনুল ৫১তম ওভারে ব্যক্তিগত ২৬ রান করে আউট হয়ে যান। ওপেনার সাদমান অর্ধশত পূর্ণ করলেও বেশি দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে এলবিডব্লুর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাদমান।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন তামিম ও সাদমান। টেস্ট মেজাজেই আগাতে থাকেন দুজন। তামিমেরর চেয়ে স্ট্রাইকে বেশি ছিলেন সাদমান। অল্প বল খেললেও দুটি চার মেরে নিজের জাত চেনাচ্ছিলেন তামিম।

তবে পঞ্চম ওভারেই অঘটন। কেমার রোচের লেন্থ বলটি ফরোয়ার্ড শট খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। তবে পা ফরোয়ার্ডে ছিল না। বল ব্যাট ফাকি দিয়ে প্যাড ঘেষে আঘাত হানে স্টাম্পে। ১৫ বলে ৯ রানে ফেরেন তামিম।

দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান ও নাজমুল হোসেন শান্তও ভালোই খেলছিলেন। চাইলেও প্রথম সেশনটা দুজন পার করে দিতে পারতেন। কিন্তু ভুল বুঝাবুঝির এক রান আউটে ভাঙে এই জুটি। ২৩.১ ওভারের ঘটনা। মায়ার্সের বলে ফাইন লেগে বল ঠেলে রানের জন্য ছোটেন সাদমান। এক রানই ছিল ঠিক। সাদমান দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটলেই বিপদ। যদিও সাদমান পৌঁছে গিয়েছিলেন কাছাকাছি। কিন্তু শান্ত ছিলেন না প্রস্তুত। যখন তিনি দৌড় শুরু করলেন ততক্ষণে কেমার রোচের থ্রো পৌঁছে গেছে সিলভার হাতে। খুব সহজেই স্টাম্প ভাঙেন তিনি।

দলে পেসারদের ছড়াছড়ি থাকলেও এই টেস্টে বাংলাদেশ খেলছে চারজন স্পিনার নিয়ে। পেসার একজন, শুধু মোস্তাফিজ। বাংলাদেশ দলে অভিষিক্ত কেউ নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অভিষিক্ত ক্রিকেটার তিনজন, শেন মোজলি, এনক্রুমা বনার ও কাইল মেয়ার্স।

এই ম্যাচ দিয়ে ম্যাচ অফিসিয়ালদের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে সূচনা হলো নতুন অধ্যায়ের। দেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ রেফারি হিসেবে যাত্রা শুরু করলেন নিয়ামুর রশিদ। পাশাপাশি টেস্ট আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হলো শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের। বাংলাদেশের পঞ্চম টেস্ট আম্পায়ার তিনি।

বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877