রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সরকারি নির্দেশনা কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সরকারি বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত রোববার শিক্ষকদের হাতে বরখাস্তের এই চিঠি পৌঁছায়।
এর আগে, রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম গত ১৩ মে ওই চারজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
বরখাস্ত হওয়া চার শিক্ষক হলেন-উপজেলার বুজরুকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আয়নুল হক ও মোজাফফর হোসেন, কুলিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা এবং বড়বিহানালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম সুইট।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ। শিক্ষকদের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত করা সুবিধাভোগীদের তালিকা যাছাই-বাছাই করার নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয় ওই নির্দেশনায়।
সেই অনুযায়ী ১২ মে বাগমারার ইউএনও শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে তালিকাগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেন। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাছাই-বাছাই করে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পরের দিন ১৩ মে শিক্ষক আয়নুল হক এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে নিজেদের ‘কলুর বলদ’ হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তার বক্তব্য সমর্থন করেন এলাকার আরও তিনজন শিক্ষক।
বিষয়টি ইউএনওর নজরে এলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন পাঠান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা খাতুন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তারা। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এজন্য তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চার শিক্ষক বরখাস্তের আদেশের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা বুঝতে না পেরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস এবং লাইক দিয়েছেন।