রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায়

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায়

স্বদেশ ডেস্ক:

সিরিয়ার নতুন শাসকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন। বাশার আল আসাদকে উত্খাতের পর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় তারা এই নিয়োগ দিলেন। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সানা শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সানা জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন জেনারেল কমান্ড পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আসাদ হাসান আল-শিবানির নাম ঘোষণা করেছে। নতুন প্রশাসনের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে যে ‘সিরিয়ার জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের যে ইচ্ছা পোষণ করছে’ এই পদক্ষেপ হচ্ছে তারই প্রতিফলন।

শিবানি সম্পর্কে তাত্ক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সিরিয়ার বর্তমান শাসক আহমেদ আল-শারা শাসনভার গ্রহণের পর থেকেই বিদেশী প্রতিনিধিদলগুলোর সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি জাতিসঙ্ঘে সিরিয়াবিষয়ক দূত এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের স্বাগত জানান।

আন্তর্জাতিক দূতদের সাথে কূটনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করার ইঙ্গিত দিয়ে শারা বলেন, তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পুনর্নির্মাণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন লাভ। তিনি বলেন, তিনি নতুন করে কোনো সংঘাতে জড়াতে চান না।

যুক্তরাষ্ট্র, অন্যান্য পাশ্চাত্য শক্তি এটাতে ‍খুশি যে শারার হায়াত আল-শাম বা এইচটিএস-এর নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যূত করেছেন। কিন্তু এটা পরিষ্কার নয় যে এই ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি কি কট্টর ইসলামি শাসনব্যবস্থা আরোপ করবে, নাকি নমনীয় হবে এবং গণতন্ত্রের পথে যাবে।

২০১৬ সালে শারা আল ক্বায়দার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা পর্যন্ত এইচটিএস আল কায়েদার অংশ ছিল।

১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার বিদ্রোহীরা দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর আসাদের কয়েক দশকব্যাপী পারিবারিক শাসনের অবসান ঘটে। আসাদ পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে সমধিক পরিচিত শারা তার নেতৃত্বে বাহিনী তিন মাসের জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে। তারা আগে থেকেই সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীদের একটি ছিঁটমহল শাসন করছিল।

২০১৩ সালে ওয়াশিংটন শারাকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে অভিহিত করে বলে যে ইরাকের আল-কায়েদা তাকে সিরিয়ায় আসাদকে ক্ষমতাচ্যূত করে ইসলামি শারিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়োগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেন যে তার মাথার মূল্য যে এক কোটি ডলার ধার্য করা হয়, ওয়াশিংটন তা প্রত্যাহার করছে।

এই যুদ্ধে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারান, এই যুদ্ধ আধুনিক যুগে সব চেয়ে বড় শরণার্থী সংকট সৃষ্টি করে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনীতি কপর্দকশূন্য হয়ে পড়ে।

সূত্র : ভিওএ

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877