স্বদেশ ডেস্ক:
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা পরিণত হয়েছে ভয়ঙ্কর অপরাধীদের এক প্রকার অভয়ারণ্যে। ছিনতাই-চাঁদাবাজি এখানে নিত্যকার কাণ্ড। দেদার চলছে অস্ত্রবাজি, রাহাজানি, মারামারি এমনকি অপহরণও। মাত্রাতিরিক্ত এ উপদ্রবের সঙ্গে যোগ হয়েছে মাদকের কারবার। মাদকসেবীদের আনাগোনাও তাই অনেক বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দেশজুড়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা ‘কিশোর গ্যাং’য়ের দৌরাত্ম্যও মোহাম্মদপুর এলাকাবাসীর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগ হয়েছে আইনি বলয় থেকে দূরত্ব রক্ষায় দেশের বাইরে অবস্থানকারী একাধিক শীর্ষসন্ত্রাসী যারা ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করেন বলে কথিত, তাদের ছত্রছায়াধীন ক্যাডারদের উৎপাতও। রাত যত গভীর হয়, অপকর্মও ততই বেড়ে যায়। টাকার জন্য অস্ত্র নিয়ে তারা হামলে পড়ছে মানুষের ওপর; কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ, লুটে নিচ্ছে পথচলতি নারীর সম্ভ্রম। স্থানীয়রা বলছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ নজরদারির অভাবেই অপরাধের আখড়ায় পরিণত হয়েছে মোহাম্মদপুর।
চাকরির সন্ধানে বের হওয়া এক তরুণীকে মোহাম্মদপুরের একতা হাউজিং ৩ নম্বর সড়কের শেষ প্রান্তে (নদীর পাড়ে) অস্ত্র ঠেকিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এটি গত ১৩ অক্টোবরের ঘটনা যখন সারা দেশ ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ-মিছিলে ছিল সরব। তরুণীর অভিযোগ- মোহন, মোস্তফা, কবির রেজা ও নাছির নামে স্থানীয় ৪ সন্ত্রাসী এ অপকর্ম করেছে। এ কা-ের পরদিন ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা (নম্বর-৫৪) করেছেন মোহাম্মদপুর থানায়। অভিযুক্তদের মধ্যে শুধু মোহনকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছে পুলিশ, অন্যরা অধরা। পুলিশ বলছে, আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গতকাল সোমবার বিকালে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে মামলার ৩ নম্বর আসামি কবির রেজার। কবির দাবি করেন- গণধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। একটি মহল তাদের ৪ জনকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসিয়েছে। এদিকে ঘটনার ১৩ দিন পরও গণধর্ষণের অভিযোগ তোলা মেয়েটি ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
নির্যাতনের শিকার তরুণী মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকেন। ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাকরির সন্ধানে রিকশাযোগে এসে তিনি থামেন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় তাসিফ অ্যাপারেলস নামে একটি পোশাক কারখানার সামনে। কর্মঘণ্টা শেষ হলে কারখানাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে তিনি ভবনের বাইরে অপেক্ষমাণ ছিলেন। ৮টার দিকে অভিযুক্ত যুবক মোহন তার কাছে এসে নিজেকে ওই কারখানার সুপারভাইজার পরিচয় দেন। এর পর চাকরি দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে নিয়ে যান মোহাম্মদপুরের একতা হাউজিং ৩ নম্বর সড়কের শেষ প্রান্তে নদীর পাড়ে। সেখানেই মোহনসহ অভিযুক্ত ৪ যুবক দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চাকু ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন ওই তরুণীকে।
এ মর্মবিদারক কা-ের মাত্র ১০ দিন আগেই (৩ অক্টোবর) চাঁদাবাজির টাকার ভাগভাটোয়ারা এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে একতা হাউজিং এলাকায় খুন হন সিরাজুল ইসলাম শিরু নামে কথিত এক ঠিকাদার। পুলিশের ভাষ্য- দেশের বাইরে পলাতক মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর হয়ে চাঁদাবাজি করতেন নিহত শিরু। চাঁদাবাজির এসব টাকা মাঝেমধ্যে বসকে না দিয়ে আত্মসাৎ করতেন তিনি। সর্বশেষ, ওই শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামে একজনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেও তা বসকে জানাননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বস বিদেশে বসেই অনলাইনে শিরুকে হত্যার নির্দেশ দেন। সেই বসের নির্দেশে ৮ শিষ্য শিরুকে বাসা থেকে ডেকে এনে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকা উদ্যান এলাকার একটি বাসায় খুন হন রহিমা খাতুন নামে এক নারী। ২৮ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর পুলপাড় হোসেন সাহেবের গলিতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে। ৬ আগস্ট মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে জেরিন আক্তার নামে এক কিশোরীর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে খুন করা হয়েছে বলে বদ্ধমূল ধারণা স্থানীয়দের। ৩ জুলাই রায়েরবাজারের মেকআপ খান রোডের একটি বাড়িতে খুন হন ঝর্ণা আক্তার নামে এক তরুণী। ৬ জুন ঢাকা উদ্যানের ১ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে খুন হন ইসরাত জাহান নামে এক গৃহবধূ। ১ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার এলাকায় সুমন শিকদার নামে এক নিরাপত্তারক্ষীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২৯ জুন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায় আল আমিন নামে এক ব্যবসায়ী। তার খোঁজ মেলেনি।
স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদপুর থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, তুরাগ হাউজিং, নবীনগর ও একতা হাউজিং এলাকা হত্যা, ছিনতাই, মাদককারবার, অপহরণ, চাঁদাবাজি-দখলবাজির মতো অপরাধ কর্মকা- ঘটাচ্ছে নতুন-পুরনো কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এসব বাহিনীর মধ্যে অন্যতম- মুনির বাহিনী, নবী গ্রুপ, রাজীব বাহিনী। নতুন বাহিনীর মধ্যে বেপরোয়া জলদস্যু কবির বাহিনী ও লম্বু মোশারফ বাহিনী। কবির বাহিনীর প্রধান মো. কবির। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা, সাভার মডেলসহ কয়েকটি থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা, গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দস্যুতা, ছিনতাই, চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে। রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। তার অন্যতম সহযোগী হলেন লতিফ ও নাজমুল। অন্যদিকে লম্বু মোশারফের বিরুদ্ধেও ঢাকার কয়েকটি থানায় অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। দুবার তিনি র্যাবের হাতে আটক হলেও জামিনে বেরিয়ে ফের চালিয়ে যাচ্ছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের আরেক নাম শামীম আহমেদ ওরফে কানা শামীম। মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় এমন কোনো অপকর্ম নেই যে কানা শামীম ও তার ক্যাডাররা করে না। তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না এলাকাবাসী। শুধু আগ্নেয়াস্ত্র চালানো নয়, ছুরি-চাপাতি-রাম দা দিয়ে মানুষ কোপানো ছাড়াও ঢাকা উদ্যান এলাকায় জমি দখল ও নিরীহ লোকদের মারধর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে এই শামীমের বিরুদ্ধে। নোঙর করে রাখা পণ্যবাহী জাহাজ থেকে তেল চুরি, নদীপথে মাছের নৌকা ছিনতাই, আমিনবাজার এলাকায় মাছের গাড়ি ছিনতাইসহ একাধিক ডাকাতি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাভার, মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে খুন, হুমকি-ধমকি, চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে ভয়ঙ্কর এ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।
পুলিশের শক্ত ভূমিকার কারণে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় আগের চেয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ গত সন্ধ্যায় আমাদের সময়কে বলেন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত রাখতে থানার ক্রাইমজোন এলাকাগুলোয় আইনশৃঙ্খলার টহল এবং চেকপোস্ট আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। যে কোনো ঘটনায় দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বিধায় অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সচেষ্ট আছি বলেও জানান তিনি।
অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের একটি ভবন থেকে গত ১৮ অক্টোবর ৪৯ লাখ টাকার জাল নোটসহ নারী-পুরুষ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ১ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং এলাকা থেকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সাইফুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান, ৬৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে র্যাব-২। র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেপ্তার সাইফুল মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, ও মাদকের কারবার পরিচালনা করে আসছিলেন।
এদিকে গত ২১ সেপ্টেম্বর দাবিকৃত চাঁদার ৫ লাখ টাকা না পেয়ে মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারে ‘সিঙ্গাপুর জুস অ্যান্ড কফি বার’ নামে একটি দোকানের মালিক তরিকুল ইসলাম ও তার বাবাসহ দোকান কর্মচারীদের মারধর করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ২৮ আগস্ট রাতে মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় সুমনচন্দ্র বর্মণ নামে এক পথচারীকে কুপিয়ে তার মোবাইল ফোন ও ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ৮ থেকে ১০ ছিনতাইকারী। স্থানীয়দের ভাষ্য, এ ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে নবোদয় হাউজিং এলাকার এই একই স্থানে পাঁচটিরও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। শুধু এই স্থানই নয়, মোহাম্মদীয়া হাউজিং, বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়, লাউতলা, কাটাসুর, শ্যামলী, কলেজগেট, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাই-পকেট মারার ঘটনা ঘটছে।
এ ছাড়া গত ১৮ আগস্ট মোহাম্মদপুরের এনএস রোড, ব্লক-বি এলাকার একটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ অবৈধ এ ব্যবসার অন্যতম সদস্য শাহীনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। ১০ জুলাই দিবাগত রাতে ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য মুহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। ৩০ জুন দুপুরে মোহাম্মপুরের তাজমহল রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জোবায়ের আহমেদ খান নামে এক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ডিলার ও তার গাড়ি চালককে তুলে নিয়ে ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় চার দুর্বৃত্ত। পরে খিলক্ষেতের তিনশ’ ফিট সড়কে তাদের ফেলে দেওয়া হয়। ১৫ জুন মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে ১১ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন পুলিশের এসআই আতিকুল ইসলাম ও তার সোর্স রেজাউর রব। ১০ জুন রাতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় মোহাম্মপুরের কৃষি মার্কেট এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ৮ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি-লুট ও মাদককারবারই তাদের পেশা। ২৩ এপ্রিল মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ের ভাঙা মসজিদের সামনে মো. খোরশেদ গাজী নামে এক আড়ত ব্যবসায়ীর গলায় চাপাতি ধরে ৬১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় সোহাগ ওরফে ডায়মন্ড সোহাগ ও দিলসাদসহ কয়েকজন ছিনতাইকারী।
থানা পুলিশ জানায়, এ ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় ‘কিশোর গ্যাং’ জড়িত। তাদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের যোগসূত্র রয়েছে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নেতা ছাড়াও স্বনামধন্য কয়েকজন জড়িত। ১ এপ্রিল মধ্যরাতে মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এলাকার বিল্লাহ ফার্মায় ঢুকে দোকান মালিক, এক এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী ও একজন ক্রেতাকে চাপাতির ভয় দেখিয়ে ক্যাশের টাকাসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় মাথায় গামছা বাঁধা, মুখে মাস্ক পরা কয়েকজন দুর্বৃত্ত। ৩০ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানের ৬ নম্বর সড়কে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পাঁচজনকে আটক করে র্যাব-২। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় রামদা, চাপাতি, কিরিচ। এ ছাড়া আরও অনেক অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় যেগুলোর বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগই করা হয়নি।