বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

রেকর্ড গড়েই জিততে হবে বাংলাদেশকে, লক্ষ্য ৩৩২ রান

স্বদেশ ডেস্ক: আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিলো উদ্বোধনী জুটি। প্রথমে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, এরপর ইবরাহীম জাদরান; উভয়ের জোড়া শতকে ভর দিয়ে বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিল তারা। ৯ উইকেট হারিয়ে বিস্তারিত...

হজ পরবর্তী জীবন

স্বদেশ ডেস্ক: মুমিনের জীবনে হজের প্রেমময় সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যময়। বাইতুল্লাহর মেহমান হতে পারা সত্যিই পরম সৌভাগ্যের। যদি হাজীগণ পুণ্যময় এই সফরের মাধ্যমে স্থায়ী কল্যাণ অর্জন করতে চান, তা হলে প্রত্যেক বিস্তারিত...

আরো কঠিন হচ্ছে মার্কিন সিটিজেনশিপ পরীক্ষা

স্বদেশ রিপোর্ট: মার্কিন নাগরিকত্ব পরীক্ষা হালনাগাদ করা হচ্ছে। তবে এতে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতার ওপর জোর দেওয়ায় অনেক অভিবাসী ও অধিকারকর্মী উদ্বেগে পড়েছে। নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে ‘ন্যাচারালাইজেশন টেস্ট’ হলো অন্যতম শেষ ধাপ। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০২০ সালে পরীক্ষা বেশ কঠিন করে ফেলেছিল। ফলে এই পরীক্ষায় পাস করতে একদিকে যেমন সময় বেশি লাগছিল, অন্যদিক পাস করাও জটিল হয়ে পড়েছিল। তবে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এক নির্বাহী আদেশে নাগরিকত্ব লাভের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করেন। এর ফলে নাগরিকত্ব পরীক্ষা আগের জায়গায় ফিরে যায়। এর আগে এই পরীক্ষা হালনাগাদ করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। ডিসেম্বরে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষাটি ১৫ বছর পর হালনাগাদ করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। নতুন সংস্করনটি আগামী বছরের শেষ দিকে কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস প্রস্তাব করেছে যে ইংরেজি দক্ষতা মূল্যায়ন করার জন্য নতুন পরীক্ষায় কথা বলার অংশ যোগ করা হবে। পরীক্ষায় একজন কর্মকর্তা দৈনন্দিন কাজাকর্ম, আবহাওয়া বা খাবারের মতো সাধারণ দৃশ্যাবলীর ছবি দেখিয়ে আবেদনকারীকে ছবিগুলো বর্ণনা করতে বলবে। বর্তমান পরীক্ষায় এক অফিসার ন্যাচারালাইজেশন সাক্ষাতকারের সময় আবেদনকারীকে তার ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে প্রশ্ন করে তার কথা বলার দক্ষতা যাচাই করে। অথচ এসব প্রশ্নের জবাব ওই ব্যক্তি তার ন্যাচারালাইজেশন কাগজপত্র আগেই দিয়ে দিয়েছিল। দশ বছর আগে ইথিওপিয়া থেকে অভিবাসন করা হেভেন মেহরেতা বলেন, ‘ছবি দেখে সেগুলোর ব্যাখ্যা করা আমার কাছে অনেক কঠিন কাজ মনে হয়।’ উল্লেখ্য, তিনি মে মাসে ন্যাচারালাইজেশন পরীক্ষায় পাস করে জুনে মিনেসোটায় মার্কিন নাগরিক হয়েছিলেন। হেভেন মেহরেতা, ৩২, বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তিনি ইংরেজি শিখেছিলেন। তার কাছে উচ্চারণ খুবই কঠিন মনে হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত প্রশ্নের চেয়ে ফটো দেখে ভাষা পরীক্ষার অংশটি যোগ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি তার মতো অনেককে পরীক্ষা পাস কঠিন করে তুলবে। পাঁচ বছর আগে ইসরাইল থেকে অভিবাসন করা শাই আভনি গত বছর মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন কথা বলা অংশটি আবেদনকারীর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, ফেডারেল সরকারের কারো সামনে বসে কথা বলাটা ভীতিকর ব্যাপার। অনেক লোকই কোনো না কোনো কারণে এতে ভয় পায়। আবার এটি যদি মাতৃভাষা না হয়, তবে পরিস্থিতি আরো কঠিন হতে পারে। আপনি হয়তো নার্ভাস হয়ে পড়বেন, যথাযথ শব্দটি বলতে পারবেন না। আর এই পরীক্ষার মাধ্যমেই নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। ফলে এখানে হারাবার মতো অনেক কিছু আছে।’ প্রস্তাবিত পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও সরকার সম্পর্কে মাল্টিপল-চয়েজের একটি অংশ থাকছে। বর্তমান সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে মৌখিকভাবে এসব প্রশ্নের জবাব গ্রহণ করা হয়। নতুন ব্যবস্থায় অনেক বেশি জ্ঞান থাকতে হবে জানিয়ে ম্যাসাচুটসের নাগরিকত্ব নিয়ে গ্রন্থলেখক বিল ব্লিস এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন যে এই পরীক্ষা হবে অনেক বেশি কঠিন। বর্তমান ব্যবস্থায় আবেদনকারীর কাছে অফিসার জানতে চান ১৯০০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধের নাম। আবেদনকারী পাঁচটি জবাবের যেকোনো একটি (প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, কোরিয়ান যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ) একটি বললেই চলে। কিন্তু প্রস্তাবিত মাল্টিপল-চয়েজ ফরমেটে আবেদনকারীকে নিচের বিকল্পগুলো থেকে সঠিন প্রশ্নের জবাব সংগ্রহ করতে হবে : ক. গৃহযুদ্ধ খ. মেক্সিকো-আমেরিকান যুদ্ধ গ. কোরিয়ান যুদ্ধ ঘ. স্প্যানিশ-আমেরিকান যুদ্ধ। সঠিক জবাব দিতে আবেদনকারীকে অবশ্যই ১৯০০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের করা পাঁচটি যুদ্ধের সবই জানতে হবে। ব্লিস বলেন, এর ফলে আবেদনকারীর ভাষাগত দক্ষতা ও পরীক্ষা-গ্রহণ দক্ষতা ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। বর্তমানে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ১০টি সিভিকস প্রশ্নের ছয়টির জবাব দিতে হয়। এই ১০টি প্রশ্ন নির্বাচন করা হয় ১০০ সিভিকস প্রশ্ন থেকে। কোন প্রশ্নটি করা হবে, তা আবেদনকারীকে বলা হয় না। তবে তাকে পরীক্ষার আগেই ১০০টি প্রশ্ন পড়তে দেওয়া হয়। জনস লাইব্রেরিস ইংলিশের নাগরিকত্ব সমন্বয়কারী লিন ওয়েনট্রাব মনে করেন, যারা ইংরেজি বুঝতে সমস্যায় রয়েছেন, তাদের জন্য নতুন ব্যবস্থায় নাগরিকত্ব লাভের সিভিকস অংশটি কঠিন করে তুলবে। তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত অনেক দেশ থেকে অনেক লোক আসে। তাদের অনেকে এমনকি স্কুলে যাওয়ার সুযোগও পায় না। তবে ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিল যে প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো ‘পরীক্ষা পরিকল্পনায় বর্তমানের সর্বোত্তম রীতি প্রতিফলিত হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, এটি নাগরিকত্ব পরীক্ষাকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরতে সহায়তা করবে। মার্কিন ফেডারেল আইন অনুযায়ী, নাগরিকত্ব লাভের জন্য আবেদনকারীকে সাধারণভাবে কথা বলতে, লিখতে ও পড়তে জানতে হবে। তাছাড়া তার মার্কিন ইতিহাস ও সরকার সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ২০২৩ সালে দেশব্যাপী প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হবে। সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পরই আগামী বছর তা চালু হতে পারে। বর্তমানে জার্মানি, কানাডা ও ব্রিটেনসহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পরীক্ষা অনেক সহজ। এমনটাই মনে করেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক সারা গুডম্যান। বর্তমান হিসাব অনুযায়ী, ৯৬ ভাগ আবেদনকারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তবে তার এই মন্তব্যের সাথে সবাই একমত নন। বিস্তারিত...

নিউইয়র্ক সিটিতে প্রকট আকার ধারণ করেছে বার্ধক্য বৈষম্য

স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটিতে বার্ধক্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আবার তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফলে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দিতে হবে। বার্ধক্য নিয়ে নগর স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির সময় অপেক্ষাকৃত বয়স্ক এবং অশ্বেতাঙ্গ লোকজন বেশি অসুস্থ ও মৃত্যুর মুখে পড়েছে। নগর কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটির সাড়ে ৮৬ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ ভাগের তথা ১৭ লাখ ৩০ হাজারের বয়স ৬০ বছর বা এর বেশি। তবে ২০৪০ সাল নাগাদ বয়স্কদের সংখ্যা ৪০ ভাগ তথা ১৮ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, ওই সময়ে ‘বেবি বুমার’ প্রজন্ম সিনিয়র সিটিজেনে পরিণত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্ধক্য বৈষম্য নিউইয়র্কের প্রবীণদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাদের চিকিৎসা খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার বয়স নিয়ে ইতিবাচক ভাবনায় স্বাস্থ্যগত উপকার থাকে। স্বাস্থ্য বিভাগ কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৯ সালে একটি জরিপ করেছিল। ১২ শ’ লোকের ওপর পরিচালিত ওই জরিপটি প্রকাশিত হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগ ওই জরিপ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, ৬০ ভাগ অপেক্ষাকৃত তরুণ মনে করে, নিউইয়র্ক সিটিতে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক ব্যক্তিরা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তবে সার্বিকভাবে নিউইয়র্কের মাত্র ২৫ ভাগ লোক তা মনে করে। জরিপে দেখা যায়, অপেক্ষাকৃত কম বয়স্করা মনে করে যে বয়স্ক ব্যক্তিরা সহজেই রেগে যান কিংবা নির্দোষ মন্তব্যকেও তাদের প্রতি অপমানজনক হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে প্রবীণদের মাত্র ৭ ও ৯ ভাগ লোক যথাক্রমে ওই অভিমতকে সমর্থন করেন। জরিপে আরেকটি তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তা হলো, অপেক্ষাকৃত কম বয়স্কদের ৩৭ ভাগ সমাজের কঠোর বাস্তবতা থেকে প্রবীণদের রক্ষা করা দরকার বলে মনে করে। তবে প্রবীণদের মাত্র ১৮ ভাগ তা প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। আবার অপেক্ষাকৃত তরুণ জানিয়েছে, অনেক প্রবীণ কিছু কিছু কাজ করতে পারেন না। কিন্তু যখন তারা ব্যর্থ হন, তখন তারা কষ্ট পান। প্রবীণদের মধ্যে মাত্র ১৪ ভাগ এই অভিমত সমর্থন করেন। বিস্তারিত...

ব্লাজিও’র সুখের ঘরে দু:খের আগুন, ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান

স্বদেশ ডেস্খ: চারলেন ম্যাকক্রেন জানিয়েছেন, তিনি ও নিউইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র বিল ডি ব্লাজিও ‘গভীর ভালোবাসায় আবদ্ধ’ রয়েছেন এবং আশা করছেন যে তারা অন্যান্য দম্পতির জন্য ‘মডেল’ বিবেচিত হবেন। প্রায় ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর তারা আলাদা হওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করা সত্ত্বেও তিনি এই মন্তব্য করলেন। দম্পিতির পার্ক সেøাপের বাড়ির বাইরে ৬৮ বছর বয়স্কা ম্যাকক্রে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের জন্য এটি একটি বড় পরিবর্তন। তবে বিল ও আমি এখনো গভীর ভালোবাসায় আবদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একত্রে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি এবং আমি মনে করি যে এটি আমাদের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত।’ আলাদাভাবে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলার সময় ম্যাকক্রেকে বেশ উৎফুল্লই লাগছিল। তিনি অবশ্য স্বীকার করেন যে নতুন বাস্তবতার সাথে খাপ খাওয়াতে সময় লাগবে। ম্যাকক্রে ও ডি ব্লাজিও ১৯৯৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান রয়েছে। তারা জানিয়েছেন, তারা বিবাহবন্ধন টিকিয়ে রাখবেন এবং অন্য লোকের সাথে ডেটিং করলেও তারা তাদের ব্রুকলিনের বাড়িতেই বাস করবেন। উল্লেখ্য, ব্লাজিওকে বিয়ে করার আগে ম্যাকক্রে ছিলেন লেসবিয়ান। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যে দম্পতিরা কিভাবে তাদের চাহিদার কথা সততার সাথে বলতে পারবে এবং অন্য দিকে চলার সময় নিজেদের মধ্যে কিভাবে আচরণ করবে, সে ব্যাপারে আমরা মডেল হতে পারি। আমার মনে হয়, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ঠিক এই কাজটিই করছি। তবে আমাদের মধ্যে খুবই গভীর বন্ধন রয়েছে। আমরা প্রায় ৩২ বছর ধরে একত্রে আছি।… আমরা সিটি হলে এবং তার আগেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আমরা একটি সুন্দর পরিবার গড়ে তুলেছি।’ বিস্তারিত...

বাইডেন কোকেইন গ্রহণ করেন দাবি ট্রাম্পের

স্বদেশ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজে গত ২ জুলাই কোকেইন উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। যে জায়গায় এই নিষিদ্ধ মাদকটি পাওয়া যায়— সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ রয়েছে। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড বিস্তারিত...

নিউইয়র্কে গাড়ি চুরি বাড়লেও সার্বিক অপরাধ কমেছে

স্বদেশ রিপোর্ট: নিউইয়র্ক সিটিতে জুন মাসে সার্বিকভাবে অপরাধ কমেছে বলে পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে। তবে গাড়ি চুরি গেছে বেড়ে। অবশ্য, অস্ত্রবাজি বাড়ায় নিউইয়র্ক নিয়ে চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়ে গেছে। এনওয়াইপিডির নতুন অপরাধ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জুন মাসের তুলনায় গত মাসে পাঁচটি বরায় বড় ধরনের অপরাধ ৪ ভাগ কমেছে। তবে গাড়ি চুরি বেড়েছে ২৩ ভাগ। গত বছরের জুনে যেখানে গাড়ি চুরি হয়েছিল ১,১৩৩টি, সেখানে গত মাসে হয়েছে ১,৩৯১টি। তবে ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি, বড় ধরনের চুরি ইত্যাদি বেশ কমেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ধর্ষণ গত বছরের জুনে যেখানে ছিল ১৪১টি, গত মাসে হয়েছে ১০৭টি, অর্থাৎ ২৪ ভাগ কমেছে। চুরি ২০২২ সালের জুনে হয়েছিল ১,৩১১টি, সেখানে গত মাসে হয়েছে ৯৮৬টি। অর্থাৎ প্রায় ২৫ ভাগ কমেছে। এনওয়াইপিডির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার অ্যাডওয়ার্ড ক্যাবান বলেন, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক পুলিশের লড়াইয়ে কিছুটা অগ্রগতি ইতোমধ্যেই হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, নগরীর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব। সকল মানুষের জীবনমান উন্নত করার প্রয়াস চালিয়ে যাব।’ বিস্তারিত...

নিউইয়র্কে উবার, ডোরড্যাশসহ বিভিন্ন কোম্পানির মামলা

স্বদেশ ডেস্ক: উবার টেকনোলজিস, ডোরড্যাশ এবং অ্যাপভিত্তিক অন্যান্য ফুড ডেলিভারি কোম্পানি ডেলিভারি কর্মীদের জন্য প্রণীত ন্যূনতম বেতনবিধি বাতিল করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। কোম্পানিগুলো পৃথক পৃথক মামলায় অভিযোগ করেছে যে খাবার সরবরাহ করা শিল্পটি কিভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে ওই আইনটি প্রণীত হয়েছিল। ১২ জুলাই ওই আইন কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ওই আইনে ডেলিভারি কর্মীদেরকে ঘণ্টাপিছু ১৭.৯৬ ডলার করে দেওয়ার কথা রয়েছে। আর ২০২৫ সালে তার বেড়ে হবে প্রায় ২০ ডলার। তবে ডেলিভারি কর্মীদের ঘণ্টাপিছু নাকি ডেলিভারিপিছু বেতন দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করবে কোম্পানি। এদিকে রিলে ডেলিভারিও একই আদালতে দায়ের করা মামলায় জানিয়েছে, রেস্তোরাঁগুলোর ওপর একই বিধি প্রয়োগ করা না হলে নিউইয়র্কভিত্তিক কোম্পানিগুলো ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবে না। তবে নগরীর ডিপার্টমেন্ট অব কনজিওমার অ্যান্ড ওয়ার্কার প্রকেটশনের প্রধান ভিল্ডা ভেরা মায়ুগা বলেন, এই আইনটি হাজার হাজার ডেলিভারি কর্মীকে গরিবি থেকে বের করে আনবে। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য শ্রমিকের মতো ডেলিভারি কর্মীরাও তাদের শ্রমের যথার্থ প্রাপ্য পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু উবার, ডোরড্যাশ, গ্রাবহাব ও রিলে এই আইনের সাথে ভিন্ন মত প্রকাশ করায় আমরা হতাশ।’ উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের আইন এই প্রথম হয়েছে। আইনটির সমর্থকরা বলছেন, এই আইনের দরকার ছিল। কারণ নগরীর ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টাপ্রতি ১৫ ডলার হলেও ডেলিভারি কর্মীরা তারে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১১ ডলার আয় করে। বিস্তারিত...

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877