স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটি থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের সাফোক কাউন্টিতে পাঠানো বন্ধ করতে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেছেন সেখানকার নেতারা। তারা সেখানকার হোটেলে যাতে অভিবাসীদের রাখা না হয়, তা নিশ্চিত করতে আইনজীবী নিয়োগের কথাও জানিয়েছেন। আইনপ্রণেতারা বলেন, নগর কর্তৃপক্ষ আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেল ভাড়া করছেন বলে তারা শুনেছেন। আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতিরোধ করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তারা আইনজীবী নিয়োগ করছেন তারা। আইনপ্রণেতা কেভিন ম্যাকক্যাফ্রে বলেন, ‘নিউইয়র্ক সিটি সচেতনভাবেই নিজেকে অভয়স্থল নগরী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু সাফক কাউন্টি তা নয়। তিনি অবশ্য জানান যে এটা কোনো অভিবাসনবিরোধী অবস্থান নয়। তবে বেশ কয়েকজন অভিবাসী জানান, এটি কার্যত সেটিই। তাদের মতে, এসব লোকের জন্য তাদের অর্থ খরচ হচ্ছে। এলেন ডিডোমেনিকো নামের একজন বলেন, ‘আমার ট্যাক্স অন্যায় কাজে লাগানো উচিত নয়। কারণ তারা এই দেশকে কিছুই দেয় না। তবে এর বিরুদ্ধে অভিমতও রয়েছে। অনেকেই এ ধরনের বক্তব্যকে হতাশাজনক, বিভাজনমূলক এবং বিদেশবৈরিতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। সেরেনা মার্টিন লিগুইরি নামের একজন বলেন, আমরা এখানে যে মাত্রায় ঘৃণার কথা শুনলাম, তা সত্যিই জঘন্য। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থানরত ৭০ হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে দ্রুততার সাথে ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করার জন্য ফেডারেল সরকারের প্রতি আবেগময় আবেদন জানিয়েছেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল, মেয়র এরিক অ্যাডামস। তারা বলেন, এসব লোক কাজ করতে পারলে তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যয় মেটাতে পারবে। অর্থাৎ তাদের বাসাভাড়া, খাবার, পোশাকসহ যাবতীয় অত্যাবশ্যক প্রয়োজন তারা নিজেরাই মেটাতে পারবে, এজন্য নগর কর্তৃপক্ষের অর্থ ব্যয় করতে হবে না। গভর্নর বলেন, ‘তারা কাজ করতে অতীব আগ্রহী। তারা কাজ করতে চায়। তারা এখানে এসেছে কাজের সন্ধানে নতুন ভবিষ্যতের সন্ধানে। তারা আমাদের অর্থনীতির, আমাদের সমাজের অংশ হতে চায়। আমাদের ইতোমধ্যেই যেসব স্থাপনা আছে, সেগুলোতে তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে চায়।’ গভর্নর হোকুল বলেন, ৫ হাজার ফার্ম জব রয়েছে। ঠিক এখন আমাদের হাতে ৫ হাজারের বেশি ফুড সার্ভিস জব রয়েছে। ক্লিনার, হাউসকিপারের জন্য আছে ৪ হাজার চাকরি। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামসও একই অভিমত প্রকাশ করেন। এমনকি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, কংগ্রেস সদস্যরাও এই অভিমতকে সমর্থন করেছেন। তাদের সবাই বক্তব্য : অভিবাসীদের দ্রুত ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হলে তারা আমেরিকান ড্রিমে জীবনযাত্রা শুরু করতে পারবেন। ইউনিয়ন স্কয়ার হসপিটালিটির ড্যানি মেয়ার বলেন, কেউ কাজ করতে চাইলে তারা স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন। বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীদের কাগজপত্রের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আশ্রয়প্রার্থীদেরকে ১৮০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। মেয়র অ্যাডামস বলেন, অভিবাসীরা দ্রুত ওয়ার্ক পারমিট না পাওয়ায় আয়ের অবৈধ রাস্তায় তারে অনেকে হাঁটছে। এখানে একদিকে তাদের শোষণ করা হয়, অন্যদিকে তারা কর দিতে পারে না। তাদেরকে দিয়ে কঠিন ও বিপজ্জনক কাজ করানো হয়। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটির সবচেয়ে উত্তপ্ত রিয়েল এস্টেট নাটক দৃশ্যত শেষ হয়েছে। দুটি নিলাম, একটি আইনি লড়াই এবং একটি কেলেঙ্কারিপ্রবণ নিউজ চক্র ত্রিকোণাকারী ফ্লাটিরন ভবনটি অবশ্য নতুন মালিক পেয়েছে। এসব বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্খ: করোনা মহামারির পর নিউইয়র্কে ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে গেছে সহিংসতা। আর তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের হিসাবেই দেখা গেছে, ২০১৮ সালের তুলনায় অপরাধ বেড়েছে ৩৪ ভাগ। পুলিশের বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ফাইলটি এফবিআইয়ের কাছ থেকে চেয়েছেন হাউস ওভারসাইট কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কামার। রিপাবলিকান দলীয় সদস্য কামার এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার রের কাছে লেখা এক চিঠিতে প্রথমবারের মতো ঘুষের আকারটি প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি জানিয়েছিলেন, ৩ মের মধ্যে ফাইলটি না দিলে তিনি অবমাননার কার্যক্রম শুরু করবেন। ঘুষ-সংক্রান্ত ঘটনাটি ২০২০ সালের ৩০ জুনের। কাকতালীয়ভাবে এর মাত্র ১৭ দিন আগে তথা ওই বছরের ১৩ জুন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছিলেন যে প্রকৃতিক গ্যাস কোম্পানি বারিসমার প্রতিষ্ঠাতা মাইকোলা লোচেভস্কির বিরুদ্ধে তদন্ত সমাপ্তি টানতে ৫ মিলিয়ন লাখ ডলার ঘুষ প্রদান করতে চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই বারিসমাই ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত জো বাইডেনের বড় ছেলে হান্টার বাইডেনকে নিয়োগ দিয়েছিল এবং প্রতিষ্ঠানটির একজন নির্বাহী ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল ওই সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ওয়াশিংটনে ডিনারে মিলিত হয়েছিলেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ২০২০ সালে যেসব নগদ অর্থ জব্দ করেছিলেন, সেগুলো আমেরিকান ১০০ ডলার নোটে প্রদান করা হয়েছিল। এটি জো বাইডেনের বিরুদ্ধে যে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে, তার সাথে মিলে যায়। ইউক্রেনের দুর্নীতি দমন ব্যুরো ওই সময় জানিয়েছিল যে কিয়েভের তিন আমলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক কর কর্মকর্তাও রয়েছেন। আর মধ্যস্ততাকারী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনকে ১ মিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কামার বলেন, জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন ঘুষের এই কেলেঙ্কারিটি ঘটে। ইউক্রেনের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর আইনজীবী নাজার খোলোদনিটস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় জো বাইডেন বা তার ছেলে হান্টার বাইডেনের নাম নেই। তবে কামারের চিঠিতে বলা হয়েছে, আড়াই সপ্তাহ পর এফবিআইয়ের নথিতে ঘুষ ‘সৃষ্টি কিংবা সংশোধন’ করার জন্য জো বাইডেনকে অভিযোগ করা হয়েছিল। ওভারসাইট কমিটি অবশ্য জানায়নি যে কোথায় বাইডেন ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন। তবে তা চীনে সম্ভবত হয়নি। তা হয়ে থাকতে পারে রাশিয়া বা ইউক্রেনে। উল্লেখ্য, চীনে বাইডেন পরিবারের দুটি আকর্ষণীয় ব্যবসা ছিল। তবে বারিসমার সাথে সম্পৃক্ত ওই ঘুষ কেলেঙ্কারি যদি ঘটেই থাকে, তবে তা মার্কিন নীতি নির্ধারণে কী প্রভাব ফেলেছিল, তা পরিষ্কার নয়। তবে বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তার ছেলে হান্টার বারিসমার বোর্ডে গোপনে যোগদানের পর তিনি ইউক্রেনের একটি প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পকে সমর্থন করেছিলেন। আরো অভিযোগ রয়েছে যে বারিসমার ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত আইনজীবীকে বরখাস্ত করতে ইউক্রেনকে চাপ দিতে ইউএস এইডকে ব্যবহার করেছিলেন হান্টার বাইডেন। উল্লেখ্য, কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও বারিসমার বোর্ডে নিয়োগ পেয়ে হান্টার বাইডেন বছরে ১ মিলিয়ন লাখ ডলার বেতন পেতেন। তবে এফবিআই এ-সংক্রান্ত ফাইল দিতে অস্বীকার করে এই মর্মে যে এসব তথ্য গোপনীয়। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অর্গানাইজেশন্স অব নর্থ আমেরিকা-ফোবানা (গিয়াস- নেওয়াজ) এর সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের স্টিয়ারিং কমিটির তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটের নবান্ন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রায় এক বছর পর ফোবানার পূর্ণাঙ্গ কমিটির চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, আগামী ১১ জুন রোববার কুইন্সের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনাতে নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে। এসময় সংগঠনের চেয়ারম্যান দাবিদার আলী ইমাম শিকদারের মতো কতিপয় লোকের ফোবানার নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করছেন বলা হয়, ফোবানার মধ্যে কিছু ‘ব্যাড এলিমেন্ট’ (দুষ্ট লোক) ঢুকে পড়েছে। তারা বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে এবং বিভক্তিতে ইন্ধন দিচ্ছে। তারা ক্ষমতা ও লোভের মোহে ফোবানায় এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসময় কমিউনিটির ‘ব্যাড এলিমেন্ট’দের বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। গিয়াস আহমেদ বলেন, তারা ফোবানার স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি শাহ নেওয়াজকেও বিভ্রান্ত করছে। যে কারণে হয়তো শাহ নেওয়াজ ফোবানার সভায় আসছেন না, আমাদের ফোনও ধরছেন না। উল্লেখ্য, শাহ নেওয়াজ এই সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে গিয়াস আহমেদ ও ডা. মাসুদুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এর আগে ফোবানার পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির কর্মকর্তারা হলেন- প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ আকতার হোসেন, উপদেষ্টা যথাক্রমে আতিকুর রহমান সালু, ডা. মাসুদুর রহমান, খন্দকার ফরহাদ, মোহাম্মদ হোসেন খান, আলী ইমাম শিকদার, ডা. ইবরুল চৌধুরী, আবু জাফর মাহমুদ ও ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান। স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান- গিয়াস আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান- কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ও আবুল আজাদ (টরন্টো, কনাডা), মেম্বার সেক্রেটারি- শাহ নেওয়াজ, সহ মেম্বার সেক্রেটারি- উত্তম দে (আটলান্টা, জর্জিয়া), কোষাধ্যক্ষ- সৈয়দ এনায়েত আলী, সদস্য যথাক্রমে তৌফিক এজাজা (মন্ট্রিয়েল, কানাডা), আসিফ বারী টুটুল, আবু জোবায়ের দারা (কানাডা), হাসানুজ্জামান হাসান, ওয়াহিদ কাজী এলিন, নিশান রহীম, ফিরোজ আহমেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, মো. আনোয়ার হোসেন, কিউ জামান, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কাজী তোফায়েল ইসলাম, আহসান হাবীব, মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমি, এম এ খালেক, তারেক হাসান খান, নূরুল আজিম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আকাশ রহমান, মোহন জব্বার, মো. শহিদুল ইসলাম ঠান্ডু ও ইলিয়াস হোসেন (আটলান্টা, জর্জিয়া), ইমরানুল হক চাকলাদার ও মো. ইলিয়াস খান (ফ্লোরিডা), মাহিম আহমেদ (মন্ট্রিয়েল, কানাডা), কবিরুল ইসলাম, নেসার আহমেদ ও মো. কাজল (ওয়াশিংটন ডিসি), সোহরাব হোসেন (বস্টন), জাকারিয়া রুমি (নিউজার্সী), কামরুল আহমেদ (শিকাগো), দেওয়ান আজিম জুয়েল (টরন্টো, কনাডা), কাজী চৌধুরী (টেক্সাস), নাজমুল আলম শ্যামল, সাখাওয়াত হোসাইন সুমন ও আবুল কালাম (কানাডা)। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের গেটে গাড়ির ধাক্কার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি সন্ত্রাসী হামলা নয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে, শুক্রবার সুদানের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের অনুগত বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে দারফুরের পশ্চিমাঞ্চল কেঁপে উঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ কথা জানিয়েছেন। বেশ কয়েকটি বিস্তারিত...