স্বদেশ ডেস্ক:
পাল্টাপাল্টি তেল ট্যাংকার জব্দ করা নিয়ে হুমকি-প্রতিহুমকির মধ্য দিয়ে যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে ইরান ও যুক্তরাজ্য। পারস্য উপসাগরে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় ইরান। কিন্তু পরে ওয়াশিংটনের ইন্ধনে কিংবা মিত্রতার রক্ষার বাধ্যবাধকতায় তেহরানের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় লন্ডনও।
বিবিসি গতকাল এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরান ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শুক্রবার বেশ উত্তাপ ছড়ানো ‘বেতার বিতর্ক’ হয়েছে। সেদিন ব্রিটিশ পতাকা উঁচানো একটি ট্যাংকার ইরান জব্দ করে।
এর আগে বেতারের ওই আলাপ হয়। এর একটি রেকর্ডিং প্রকাশ হয়েছে। সেদিন ইরানের জাহাজ থেকে কর্মকর্তারা ব্রিটিশ এইচএমএস মন্ট্রিজকে বলেছিলেন, নিরাপত্তার জন্য তারা ওই জাহাজে তল্লাশি চালাতে চায়। ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, তার সরকার কূটনৈতিকভাবে সব চেষ্টাই চালাবে। কিন্তু লন্ডনে ইরানের রাষ্ট্রদূত উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাজ্যকে দুষছেন।
হামিদ বাইদিনাজাদ টুইটারে বলেন, ‘এ রকম স্পর্শকাতর সময়ে এটি খুবই ভয়ঙ্কর এবং বোকামিই বলব। অবশ্য ইরান অন্যভাবেও প্রস্তুত আছে।’ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানকে আহ্বান করেছেন যেন অবৈধভাবে জব্দ করা জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেরেমি হান্ট বলেন, এ ঘটনা হরমুজ প্রণালিতে যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক নৌচলাচলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুতর প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
হান্ট আরও বলেন, তেহরান কথা না শুনলে কী করবে তার সরকার, তা তিনি এমপিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এদিকে ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার দ্য স্টেনা ইম্পিরোর নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে ইরান। ভিডিওতে ট্যাংকার জব্দ করার মুহূর্তের চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্বের অত্যন্ত সংবেদনশীল জলসীমা হরমুজ প্রণালি। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় গত শুক্রবার ব্রিটিশ পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার জব্দ করে ইরানের রিভোলিউশনারি গার্ড। ৪ জুলাই সিরিয়াগামী অপরিশোধিত তেলবাহী একটি ইরানি ট্যাংকারকে জিব্রাল্টারের জলসীমা থেকে জব্দ করে ব্রিটেনের রাজকীয় নৌবাহিনী। এ নিয়ে ইরান ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।