স্বদেশ ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হবে না জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ড. এস এম মাসুদ কামাল।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে ছাত্ররাজনীতির অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিল। আর বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির সূতিকাগার হিসেবে ধরা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে।’
দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রগতিশীল নেতৃত্ব গঠনে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ভিসি বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। এগুলো সংস্কারের পরই ক্যাম্পাস চালু করা হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের আকস্মিকভাবে ও মুহূর্তের মধ্যেই মারমারি শুরু হয়ে যায়। সেজন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেকারণেই তখন তারা কিছু করতে পারেননি। হল প্রভোস্টরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে তারাও ভাঙচুর ঠেকাতে পারেননি।
ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ কত সেটা হিসাব করা দুষ্কর।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে হলসমূহ সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভিসি।
খোলার পর হলে নিয়মিত ছাত্ররাই রুম বরাদ্দ পাবেন বলে নিশ্চিত করেন ভিসি।
এসময় তার সাথে ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল হক ভূইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসানহ সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টরা।
এদিকে, গত ১৫ জুলাই ঢাবির বিক্ষোভরত কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ করতে গেলে শিক্ষার্থী বনাম ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রড, হকিস্টিক, ককটেলে বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা করে। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক নারী শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যায়।