স্বদেশ ডেস্ক:
আফগানিস্তান ইস্যুতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর পদক্ষেপ বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান যেহেতু সার্কভুক্ত দেশ তাই এ অঞ্চলের বাকি দেশগুলোর পদক্ষেপ বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করেন, দীর্ঘদিন পর হলেও আফগানিস্তানে সুদিন আসবে নতুন সরকারের হাত ধরে। গতকাল মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সক্ষমতা নেই বলেই আফগানদের সাময়িক আশ্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব বাংলাদেশ নাকচ করেছে বলে জানান ড. মোমেন। তবে মার্কিন প্রস্তাবকে সরকার ইতিবাচকভাবে নিয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পরই কিছুদিনের মধ্যেই গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এতে ঝুঁকিতে পড়েছেন দেশটিতে থাকা মার্কিন সমর্থক ও সহযোগীরা। তাই মিত্রদের সাময়িক জায়গা দিতে প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন, তারপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রস্তাব দেন ঢাকায়। তবে সে প্রস্তাব নাকচ করে দেয় সরকার।
পাসপোর্ট পেতে প্রবাসীদের ভোগান্তি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাসপোর্ট নবায়ন জটিলতা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই ভোগান্তিতে রয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। পাসপোর্ট সরবরাহ করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্যু নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্যু। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আটকে আছে। তবে প্রিন্টিংয়ের সমস্যাটি দূরীকরণে কাজ চলছে।’
এদিকে বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন
পদ্মায় বাংলাদেশকে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া ৩১টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও প্রায় ২০ টন চিকিৎসাসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। এখন করোনা ভাইরাসের মধ্যে অক্সিজেনসহ অন্যান্য সংকটে তারা পাশে দাঁড়াচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ভারত থেকে অক্সিজেন আসছে। আমি ভারতের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের প্রয়োজনের সময় পাশে দাঁড়ানোয়।’
ভারত থেকে কোভিড-১৯ টিকাও আবার আসতে শুরু করবে বলে আশা রেখে ড. মোমেন বলেন, ‘ভারত আমাদের টিকা দিয়েছিল। আশা করি, তার সরবরাহ শিগগির চালু হবে। কারণ তারা ইতোমধ্যে কার্যকরভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তাদের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল।’