স্বদেশ ডেস্ক: নড়াইলের সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কলেজছাত্রের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই কলেজছাত্রকে রক্ষা করতে গিয়ে এক নার্স ও পরিবারের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-হাসপাতালের নার্স অনিমা মল্লিক, আহত কলেজছাত্রের মা রিনা বেগম, বোন টেকলি খানম ও মামা নাঈম মিয়া। তাদেরকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও আহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে নাছির উদ্দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজারের শেখ বিপ্লবের দোকানে শার্ট কিনতে যান। এ সময় দোকানদারের সঙ্গে দাম নিয়ে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে ওই যুবককে মারধর করা হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু রাত ৮টার দিকে ওই দোকানদারসহ অপরিচিত আরও ১৫ থেকে ১৬ জন লোক এসে হাসপাতালের বেডে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায়। এ সময় হামলা ঠেকাতে গিয়ে নার্সসহ চারজন আহত হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দোকনদার শেখ বিপ্লবের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে প্রথম দফা মারধরের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, নড়াইল সদর হাসপাতালে কারা নাছির উদ্দিনের ওপর হামলা করেছে, তা তিনি জানেন না। তবে ঘটনার পর পরই কেউ তাকে ফোনে বলেছিল হাসপাতালে নাছিরের ওপর হামলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, ‘হামলার খবর শোনার পর দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’