সোমালিয়া উপকূলে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য লোড করে অবশেষে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নোঙর করার তথ্য নিশ্চিত করেন জাহাজটির মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
জাহাজটি নোঙর করার তথ্য জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান লেখেন, ‘ভালোবাসি বাংলাদেশ। আমার বাংলাদেশ।’
মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা পরিবহন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার সময় জাহাজটি গত ১২ মার্চ রাতে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। দীর্ঘ দেন-দরবার শেষে গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুমুক্ত হয় জাহাজটি ও এর ২৩ নাবিক।
মুক্ত হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধ জাহাজের প্রহরায় জাহাজটি সোমালি উপকূল অতিক্রম করে এবং গত ২২ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে কয়লা খালাসের পর ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করে মিনা সাকার এবং ফুজাইরা বন্দর হয়ে জাহাজটি ৩০ এপ্রিল ভোরে আরব আমিরাত ত্যাগ করে।
এদিকে জাহাজটির ২৩ নাবিকও বন্দীদশার দু’মাস পর দেশে ফির স্বজনদের সাথে সাক্ষাতের জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন, যাদের সবাই বাংলাদেশী।
কেএসআরএম গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটিতে নতুন ২৩ নাবিক যোগদান করবে মঙ্গলবার। নতুন নাবিকেরা ইতোমধ্যে কুতুবদিয়ায় রওনা হয়েছে। তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যোগদানের পর বন্দীদশা থেকে মুক্ত নাবিকেরা দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার মুক্ত নাবিকেরা দুপুর নাগাদ সদরঘাটে কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর পর তাদেরকে সেখানে শুভেচ্ছা জানানোর কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, জাহাজটির গভীরতা (ড্রাফট) বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রাথমিকভাবে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাসের পর চট্টগ্রাম বন্দর বর্হিঃনোঙরে এনে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।