রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

ধর্ষণের সালিশে শিশুকে বিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান

ধর্ষণের সালিশে শিশুকে বিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান

স্বদেশ ডেস্ক:

মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গেছেন, সেই সুযোগে পিতৃহারা ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে পরিচিত যুবক মো. সহিদ। পরে বিষয়টি জানতে পেরে শিশুর মা থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে বাগড়া দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। উল্টো ওই নারীকে মারধর করে এবং পুলিশের ভয় দেখিয়ে নিজেই সালিশ করে রায় দেবেন বলে জানান। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ধর্ষকের সঙ্গে বাল্যবিয়ে দেওয়া হয় ভিকটিম শিশুকে। বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহসীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহ দুইয়েক আগে ফকিরহাটের মৌভোগ গ্রামের সৈয়দ কাজীর ছেলে মো. সহিদ (২২) একই এলাকার এক কন্যাশিশুকে (১৩) বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির মা অন্যের বাড়ি কাজ করে সংসার চালান। আর সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে লম্পট সহিদ। বিষয়টি জানতে

পেরে শালিস ডাকেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহসীন। উল্টো মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষকের সঙ্গে শিশুটিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোরপূর্বক মেয়ের মাকে রাজি করান। ধর্ষক সহিদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে বলে জানা যায়।

ধর্ষকের বিচারে বাধা দিয়ে উল্টো বাল্যবিয়েতে সহায়তা করায় চেয়ারম্যান মহসীনের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তারা জানান, এলাকার মানুষের আস্থা হিসেবে ভূমিকা রাখার কথা একজন জনপ্রতিনিধির। কিন্তু তিনি যদি অপরাধ ও দুর্নীতির আশ্রয়দাতা হন তখন সাধারণ মানুষ আরও বিপাকে পড়ে যায়।

ধর্ষণের শালিস কীভাবে করলেন- চেয়ারম্যান কাজী মহসীনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘ওসি এবং ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেই আমি এ বিয়ে দিয়েছি।’ তবে তার কথার সত্যতা যাচাই করতে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবু সাইদ খায়রুল আনামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘এমন বিয়ে ও ধর্ষণ সম্পর্কে আমি অবগত নই।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877