স্বদেশ ডেস্ক:
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ভবন খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়িও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।নয় তলা ভবনের পুড়ে যাওয়া চারটি তলা ছাড়া বাকি পাঁচ তলায় অফিস শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে করে আগুন লাগার ১১ দিন পর এখন অনেকটাই স্বাভাবিক সচিবালয়।
আজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে সবাই প্রবেশ করতে পারছেন। এর আগে আগুন লাগার পর থেকে ৭ নম্বর ভবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ ভবনের চার তলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, তিন তলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, দুই তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন।
তবে পাঁচ তলার পর (উপরের ফ্লোরগুলোতে) গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাঁচ তলায় পূর্ব পাশে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিম পাশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট সেখানে যায়। প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়। আগুনে ৭ নম্বর ভবনের ৬, ৭, ৮, ৯ এই চারটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে অষ্টম ও নবম তলায় ক্ষতি হয়েছে বেশি, সেখানকার অধিকাংশ নথি পুড়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের কারণে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনের বেশির ভাগ সময় সচিবালয়ের অধিকাংশ ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ে গেলেও দপ্তরে ঢুকতে না পেরে বেরিয়ে আসেন। সব মিলিয়ে সচিবালয়ের নিয়মিত কর্মকাণ্ড কার্যত বন্ধ ছিল।
পরে এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানায়, বৈদ্যুতিক ‘লুজ কানেকশন’ থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।