বিশ্ব ফুটবলে লায়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা সকলেরই জানা। দু’জনেরই অনুরাগীর সংখ্যা অগুনতি। তাদের মধ্যেও আকচাআকচি আজ সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম রসদ। প্রত্যাশা পূরণে মেসি ব্যর্থ হলেই রোনালদো ভক্তরা আনন্দে মেতে ওঠেন। আবার উল্টোটাও হয়। সিআর-সেভেনের গোলখরায় মুখরিত হন লিও অনুরাগীরা। এই দুই মহাতারকাকেই কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে পাওলো ডায়বালার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসি তার সহ-ফুটবলার। আর জুভেন্তাসে রোনালদো। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডায়বালা জানিয়েছেন, ‘আর্জেন্তিনায় রোনালদো গ্রহণযোগ্যতা নেই। স্বাভাবিকভাবেই ওকে ঘৃণা করে সবাই। সিআর-সেভেনের কোনো কিছুই আমাদের দেশের লোকেদের না-পছন্দ।’
প্রায় আট বছর ধরে স্প্যানিশ ফুটবল সমৃদ্ধ করেছেন মেসি ও রোনালদো। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ্রে জার্সিতে দু’জনের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে ফিকে হয়ে গিয়েছিল বিশ্বের অন্য লিগগুলো। সেই পর্বে এল ক্লাসিকোই ছিল ক্লাব ফুটবলের সর্বোত্তম ম্যাচ। কিন্তু সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছেড়ে সিআরসেভেন জুভেন্তাসে যোগ দেয়ায় সেই উৎসাহে ভাটা পড়ে।
এই প্রসঙ্গে ডায়বালা বলেছেন, ‘মেসি ও রোনালদো লা লিগার সম্পদ ছিল। এখন দু’জনে দু’টি লিগ মাতিয়ে রেখেছে। আর্জেন্টাইন হিসেবে আমিও মেসির অনুরাগী। স্বাভাবিকভাবেই রোনালদোকে পছন্দ করতাম না। কিন্তু তুরিনে পর্তুগিজ মহাতারকাটির সঙ্গে মেশার পর ভাবনায় বদল এসেছে। সে কথা রোনালদোকে জানিয়েছি।’
ক্লাব ফুটবলে ডায়বালা নিয়মিত খেলার সুযোগ পেলেও, শেষ এক বছরে দেশের জার্সিতে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি তিনি। মেসি ও তার পজিশন এক হওয়াতেই এই সমস্যা বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এই প্রসঙ্গ নিয়ে লিওর সঙ্গে তার কথাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডায়বলা। তার মন্তব্য, ‘মেসি ধৈর্য ধরে আমার কথা শুনেছে। দিয়েছে প্রয়োজনীয় পরামর্শ। গত বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় আমি খুব বেশি সময় খেলার সুযোগ পাইনি। তবে এই নিয়ে বিন্দুমাত্র হতাশ নই। ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরি রাখাই আমার কর্তব্য। নীল-সাদা জার্সি গায়ে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করাটাই যথেষ্ট সম্মানজনক।’
সূত্র : বর্তমান