অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুরোধে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এরপর অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাজেট বক্তব্য দিতে অসুস্থবোধ করছিলেন অর্থমন্ত্রী। শারীরিক অসুস্থতার জন্য একদিন আগেই হাসপাতাল থেকে ফিরেন তিনি। এ অবস্থায় একাদশ জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশের শুরুতেই অস্বস্তিবোধ করছিলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, আমি যতটুকু পড়তে পেরেছি বাকিটুকু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। উনি পড়ে দেবেন। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতিক্রমে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মাননীয় স্পিকার আমারও অপারেশন, আমার মন্ত্রীরও অপারেশন। তার উপরে ঠান্ডা লেগে কিছুটা গলা সমস্যা। তারপরও পড়ি।
এ মুহূর্তে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এর আগে অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে যান। সংসদ এলাকায় পৌঁছলে তাকে ধরে ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে সংসদ ভবনের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
কয়েক দিন জ্বরে ভোগার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে যান অর্থমন্ত্রী। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে রাতে সেখানেই থেকে যান। বুধবার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে হাসপাতাল থেকেই সংসদে যান। অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি আবার হাসপাতালে ফিরে আসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী সংসদে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাজেট সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক শুরু হয়। পরে সেখানেই অনুমোদন হয় বাজেট।