গত ৩০ মে থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন বাকপ্রতিবন্ধী মনির হোসেনের স্ত্রী গোলাপি বেগম (৪০)। খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে থানায় জিডি করেন তার ভাশুর। এদিকে পাশের গ্রামের ভুট্টাক্ষেত থেকে গত সোমবার মুখে মবিল মাখানো অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশটি গোলাপি বেগমের বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। মঙ্গলবার তার দাফন সম্পন্ন হয়। এদিকে গতকাল ফিরে আসেন ‘আসল’ গোলাপি বেগম। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- মৃত নারীটি তা হলে কে?
জানা যায়, গতকাল বুধবার সকালে আড়ানী রেলস্টেশন থেকে গোলাপি বেগমকে জীবিত উদ্ধার করে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। সেখানে গোলাপি বেগমের মামা শাকিব হোসেন, শাশুড়ি মরিয়ম বেগম, ভাশুর মাজদার রহমান, জা সাজেদা বেগমের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আসল গোলাপি বেগমকে শনাক্ত করা হয়।
পরে চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম রফিক গৃহবধূ গোলাপি বেগমসহ উভয় পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন। গোলাপি বেগম বলেন, ঈদের আগে ২৯ মে রুস্তমপুর হাটে ৪২ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি করি। এ টাকা নেওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ দিতে থাকে। তাই আমি নিরুপায় হয়ে পরের দিন বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাই।
পরে ছয় বছরের সন্তান মারুফ হোসেন ও পেটের পাঁচ মাসের সন্তানের কথা ভেবে গতকাল সকালে রাজশাহী থেকে মহানন্দা ট্রেনে আড়ানী স্টেশনে আসি। এ সময় স্থানীয় কিছু মানুষ আমাকে চিনতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী জানান, প্রকৃত গোলাপি বেগম ফিরে আসায় ওই লাশের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।