স্বদেশ ডেস্ক:
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলন্ত ফেলানীর নিথর লাশ দেখে পুরো পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল অথচ শেখ হাসিনার বুক কাঁপেনি। বিএসএফ অথবা ভারত সরকার অনুশোচনা বোধ করেনি। এরকম বন্ধু আমাদের প্রয়োজন নেই।
মঙ্গলবার সকালে জাগপা আয়োজিত ফেলানী হত্যা দিবসে, ‘ফেলানীর রক্ত-প্রতিবাদের মন্ত্র’ শীর্ষক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে দিনের পর দিন, ভারতের বিএসএফ সীমান্তে পাখির মতো হত্যা চালিয়েছে। রক্তপিপাসু আওয়ামী সরকার ভারতকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালানোর ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছিল বলেই একবারও প্রতিবাদ করেনি।
তিনি বলেন, ভারত সরকার বন্ধুত্বের মিথ্যা আশ্বাস এবং লাশ হস্তান্তর ব্যতীত কিছুই করেনি। তাই ফেলানী হত্যার দায় শুধু মাত্র বিএসএফের নয়, ফেলানী হত্যায় ভারত ও শেখ হাসিনা দায়ী।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকারকে বুঝতে হবে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ তাদের গোলাম হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নয়। আমরা শেখ হাসিনার গদি উলটে দিয়েছি এবং ভারতের গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি। আপনাদের দাদাগিরি আর চলবে না।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও অংশগ্রহণ করেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার আসাদুর রহমান খান, শ্রমিক জাগপার সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবুল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলম, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা নেতা মনোয়ার হোসেন, পাবেল আহমেদ, ছাত্রনেতা রিয়াজুল ইসলাম, মো. নাজমুল হোসেন সোহেল প্রমুখ।