স্বদেশ ডেস্ক:
টানা দুই দিন খেলার পর এক দিনের বিরতি পড়েছে বিপিএলে। বিরতি শেষে আবার মাঠে গড়াচ্ছে ম্যাচ। আজ তৃতীয় দিন বেলা দেড়টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুর্বার রাজশাহী ও ঢাকা ক্যাপিটালস। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মুখোমুখি হবে বিপিএলের দুই পরাশক্তি রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। ৭ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের আগে ম্যাচটিকে ক্রিকেটপ্রেমী অনেকেই অলিখিত ফাইনাল বলছেন। রংপুর টানা দুই ম্যাচ জিতে সবার ওপরে। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে রংপুর প্রথম ম্যাচে ৪০ রানে হারিয়েছে থিসারা পেরেরার ঢাকা ক্যাপিটালসকে। দ্বিতীয় ম্যাচে আরিফুল হকের সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়েছে ৩৪ রানে। বিপিএলের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবালের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ৪ উইকেট হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দুর্বার রাজশাহীকে।
গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) চ্যাম্পিয়ন হয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে রংপুর রাইডার্স। সেই ধারাবাহিকতায় বিপিএলে দারুণ খেলছে সোহান বাহিনী। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে পাত্তাই দিচ্ছে না। প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছে রংপুর। বিশেষ করে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ রয়েছেন দারুণ ছন্দে। জিএসএল খেলেছেন খুশদিল। বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচেও দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন পাকিস্তানের এ অলরাউন্ডার। দুর্বার রাজশাহীর বিরুদ্ধে ৪০ রানে জয়ী ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছেন খুশদিল। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। ইফতেখারের ৪৯, সাইফ হাসানের ৪০, খুশদিলের অপরাজিত ৪৬ ও অধিনায়কের ২৫ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে। জবাবে রাজশাহী ৯ উইকেটে ১৫১ রান করে। শেখ মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ২৭ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। কিন্তু অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হন খুশদিল। অপরাজিত ৪৬ ছাড়াও ২ ওভারের স্পেলে ১৫ রানের খরচে নেন ২ উইকেট।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচেও রান করেন ইফতেখার। ৪৭ রান করেন ৪২ বলে। তবে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক সোহান। ৪১ রানের ইনিংস খেলেন ২৪ বলে। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করে রংপুর। টি-২০ ক্রিকেটে খুব বড় স্কোর নয়। সেই স্কোর গড়েও ‘স্পিডস্টার’ নাহিদ রানার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১২ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৩৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয় রংপুর। ম্যাচসেরা রানার স্পেল ছিল ৪-০-২৭-৪।
ফরচুন বরিশাল চ্যাম্পিয়নের মতো বিপিএল শুরু করেছে। প্রথম ম্যাচে এনামুলের রাজশাহীর ৩ উইকেটে ১৯৭ রান টপকে যায় বর্ষীয়ান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের টর্নেডো গতির হাফ সেঞ্চুরিতে। হারলেও ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন এনামুল বিজয় ও ইয়াসির আলি। বিশেষ করে ইয়াসির ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ৪৭ বলে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেন। বিশেষ করে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। পরের ৪৪ রান করেন ১২ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। রাজশাহীর অধিনায়ক বিজয় ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন ৫১ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায়। ১৯৮ রানের টার্গেটে ১১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মাহমুদুল্লাহ ও ফাহিম সপ্তম উইকেট জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন মাত্র ৩৫ বলে। ম্যাচসেরা মাহমুদুল্লাহ খেলেন ২৬ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৫৬ রান। ফাহিম ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন ১ চার ও ৭ ছক্কায়।
প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ঢাকা ক্যাপিটালস ও দুর্বার রাজশাহী। দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে দুই দল। জয়ী দল প্রথম পয়েন্ট পাবে। আশার কথা, বিপিএলে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের আট ইনিংসে দলগুলো দেড় শর ওপর স্কোর করছে। শুধু সিলেট স্ট্রাইকার্স ৯ উইকেটে ১২১ রান করেছে রংপুরের বিরুদ্ধে। কোনো সেঞ্চুরির ইনিংস নেই। অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে সাতটি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অপরাজিত ৯৪, ইয়াসির আলির। সেরা বোলিং নাহিদ রানা ও শেখ মেহেদি হাসানের ৪/২৭। আবু হায়দার রনিও ৪ উইকটে নিয়েছেন।