স্বদেশ ডেস্ক:
পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এর মূল লক্ষ্য সব ধরনের খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাগুলো যেন হারিয়ে না যায়, সেটির চর্চা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আজকের শিশুরা যাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ নাগরিক হয়ে পরিবার, সমাজ এবং দেশের জন্য অবদান রাখতে পারে।’
আজ বুধবার ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চূড়ান্তপর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাগুলো যেন হারিয়ে না যায়, যেমন হাডুডু থেকে সব ধরনের দেশীয় খেলার চর্চা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা মেধাবী। সুযোগ করে দিলে তারা আরও ভালো করতে পারবে। সব ধরনের খেলাকে আমাদের হাতে আনতে হবে। আমাদের কিছু দেশীয় খেলা, সেই ডাংগুলি থেকে শুরু করে, বিভিন্ন খেলাধুলা আগে প্রচলিত ছিল। সেগুলো আমাদের আবার চালু করা উচিত। আমাদের নিজস্ব দেশীয় খেলাগুলো, হাডুডু থেকে শুরু করে সবগুলো খেলা সক্রিয় রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরাসহ সবাই মিলে উদ্যোগ নেবে, যেন দেশীয় খেলাগুলো হারিয়ে না যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেলাধুলাকে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি উন্নত প্রশিক্ষণ নিক। তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার। কাজেই আগে প্রশিক্ষক তৈরি করা একান্তভাবে দরকার। প্রতিটি বিভাগে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান (বিকেএসবি) গড়ে তোলা হবে। যেন আমাদের ছোট্ট শিশুরা খেলাধুলায় আরও বেশি পারদর্শী হতে পারে। ছোট বেলা থেকে যদি শিশুদের খেলাধুলায় প্রশিক্ষণ দেয়া যায়, তাহলে তারা আগামীতে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে কয়েকটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় এটি তৈরি করা হবে। যাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ নাগরিক হয়ে পরিবার, সমাজ এবং দেশের জন্য অবদান রাখতে পারে আজকের শিশুরা। এটা (স্টেডিয়াম) তৈরি করার মূল লক্ষ্য হলো, তারা যেন কোনো নো কোনো খেলার সাথে সারা বছর যুক্ত থাকতে পারে। ক্রিকেট ও ফুটবল স্টেডিয়াম তো আছে সেগুলো আলাদা। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে কয়েকটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার একটা লক্ষ্য হচ্ছে, সেখানে সব ধরনের খেলাধুলা হবে, প্রতিযোগিতা হবে। আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।’
পরে তিনি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।