বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যেসব চা

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যেসব চা

স্বদেশ ডেস্ক:

শীতে বাতাসে ব্যাক্টেরিয়া-ভাইরাস বেড়ে যায়। ফলে সংক্রামক রোগ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মৌসুম বদলের এই সময়ে জ্বর, সর্দিকাশি লেগেই থাকবে। যাদের হাঁপানি আছে, তাদের কষ্ট আরো বেশি। ঠান্ডা লাগলেই শ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে কেবল মুঠো মুঠো ওষুধ খেলেই হবে না, শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

এর জন্য বিভিন্ন ডিটক্স পানীয় যেমন জরুরি, তেমন রোজের খাওয়াদাওয়াতেও নজর দিতে হবে। ডিটক্স পানীয় অনেকেই খান না, বিশেষ করে বাড়ির প্রবীণ সদস্যদের জোর করে এমন পানীয় খাওয়াতে পারবেন না। তার থেকে রোজের চায়েই এমন কিছু মশলা মিশিয়ে দিন, যা স্বাভাবিকভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে।

শীতের সময় আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাদ্য রাখুন যা আপনাকে সুস্থ সবল রাখবে।

তুলসী

তুলসি গ্রিন টি'র ৫ টি অসাধারণ উপকারিতা

তুলসী নানা রোগ নিরাময় করতে পারে এবং অনাক্রম্যতা শক্তিশালী করে। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ব্যথানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শুকনো কাশি-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় সাহায্য করে। তুলসী পাতার চা অ্যালার্জিজনিত ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানিও নিরাময় করতে পারে।

আদা

সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার চিকিৎসায় আদা যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা আমাদের শরীর উষ্ণ রাখে। যে কারণে শীতকালে আদা চা পান দারুণ কার্যকর। এক কাপ পানিতে আদা থেঁতো করে দিয়ে ফোটান। এতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। গলা ব্যথার জন্য দারুণ কার্যকর এই পানীয়।

হলুদ

 

 

হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সর্দি-কাশি এবং ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং জয়েন্ট ভাল রাখে। এক কাপ জলে আদা, এক চা চামচ হলুদ এবং অর্ধেক লেবু দিয়ে পান করুন। সর্দি, কাশিতে এই পানীয় ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

দারুচিনি

দারুচিনিও আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ দারুচিনি যে কোনও সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমাতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় নিজেকে সুস্থ রাখতে দারুচিনি খেতে পারেন। এক কাপ পানিতে আদা দিয়ে ফোটান। এতে ১/২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে পান করুন।

তেজপাতা

তেজপাতা স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত করতে সহায়তা করে। ছবি: সংগৃহীত

 

তেজপাতায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি অনেক অসুখবিসুখ সারাতে পারে। হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করতে তেজপাতা বেশ কার্যকর। এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও তেজপাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতেও তেজপাতা খুবই কার্যকরী।

লবঙ্গ

লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের গোলমাল ঠেকাতে লবঙ্গ খুবই উপকারী। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য লবঙ্গ উপকারী। গবেষণা বলছে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কমে। পাশাপাশি সর্দিকাশি সারাতেও লবঙ্গের ভূমিকা রয়েছে। এক কাপ গরম জলে ৪-৫ টি লবঙ্গ দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে দিন। একটু ঠান্ডা হলে খেয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেতে পারেন লবঙ্গ চা।

গোলমরিচ

গোলমরিচের চা শরীর থেকে ক্ষতিকারক সব টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। এটি শরীরের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে এই মশলাটি সর্দি, কাশি এবং ফ্লুর বিস্তার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং রেসপিরেটরি ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এক কাপ হলুদ দুধে গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। দুধ না খেতে চাইলে চায়ের সঙ্গে গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877