স্বদেশ ডেস্ক:
নিজের সাবেক ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) এক হাত নিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। তার দাবি আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে ফেরার পর তাকে স্বীকৃতি দেয়নি ফরাসি ক্লাবটি।
এই গ্রীষ্মে দলবদলের সময় প্যারিস ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন রেকর্ড সাত বারের ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ী আর্জেন্টাইন সুপার স্টার। সেখানে মেজর সকার লিগের ক্লাব (এমএসএল) ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিয়েছেন মেসি। এর আগে ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পিএসজিতে ছিলেন তিনি।
ইনজুরির কারণে ইন্টার মিয়ামির হয়ে সর্বশেষ ম্যাচে বিরতির আগেই মাঠ ছাড়ার পর স্প্যানিশ একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে মেসি ওই তৎকালীন পিএসজি, বিশেষ করে ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর পরের ঘটনার উল্লেখ করেন।
ওলগার সাথে ওই সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আমিই একমাত্র আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় ছিলাম, যে কিনা নিজ ক্লাবে বিশ্বকাপ জেতার জন্য সংবর্ধনা পাইনি। তবে ওটা তেমন বড় ব্যাপার নয়।’
মেসি বলেন, ‘তবে এটি ঠিক যে, আমিই ওই দলের খেলোয়াড় যারা তাদের (ফরাসিদের) দলকে ফাইনালে হারিয়েছে, টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিততে দেয়নি। এটি বাস্তবতা।’
পিএসজিতে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়ের নাম মেসি আর ফ্রান্সের মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। এ কারণেই হয়তো মেসির সংবর্ধনা দিতে তাদের এমন কার্পণ্য। ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর পিএসজিতে মেসির প্রতি বিদ্বেষও বেড়ে যায়।
তবে মেসি বলেন, ‘সত্যিটা হচ্ছে এমবাপ্পের সাথে আমার সম্পর্কটা দারুণ। (পিএসজিতে) সব খেলোয়াড়ের সাথেই ভালো সম্পর্ক ছিল।’
তবে ক্লাব থেকে বিদায় নেয়ার সময় মেসির চোখে পানি আসার উপক্রম হয়। কারণ দর্শকরা তাকে দুয়ো ধ্বনি দিচ্ছিল এবং সতীর্থ এমবাপ্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে উল্লাস করছিল।
মেসি বলেন, ‘আমি সব সময় বলছি, এর কারণ ছিল। আমি সেখানে (পিএসজি) ভালো না থাকলেও সেখানে থাকার সময়ে আমি বিশ্বকাপ জিতেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মেসি বলেন, ‘আমি ভালো অবস্থায় থেকে পরের কোপা আমেরিকায় যোগ দিতে চাই। আমি এখন আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। হ্যাঁ, আসন্ন কোপা আমেরিকা নিয়ে ভাবছি। এরপর দেখা যাবে। এটা (খেলা চালিয়ে যাওয়া) নির্ভর করছে আমার শরীরের ওপর। (বিশ্বকাপ জয়ের) বছর কেটে গেছে এবং আমাকে দেখতে হবে দিনকে দিন আমি কেমন অনুভব করি।’
নিজের বর্ণিল ক্যারিয়ারে মেসি রেকর্ড সাতবার ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ের পাশাপাশি ইউরোপের সর্বোচ্চ গোল্ডেন বুটও জয় করেছেন। কিন্তু মিয়ামিতে পাড়ি জমানোর সময় ওই সব ট্রফির একটিও সাথে করে যুক্তরাষ্ট্রে আনেননি। ওইসব ট্রফি বার্সেলোনার বলে জানিয়েছেন মেসি।
সূত্র : বাসস