স্বদেশ ডেস্ক:
এত দিন প্রবাসী শ্রমিক, ব্যবসায়ী এবং হজযাত্রীদেরই কেবল সৌদি আরবের ভিসা দেওয়া হতো। কিন্তু আজ শনিবার থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অনলাইনে ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন ৪৯টি দেশের নাগরিকেরা। রাজতান্ত্রিক দেশটি গতকাল শুক্রবার বিশ্বের ৪৯টি দেশের জন্য ভিসার নতুন নিয়ম চালু করছে।
সৌদি আরবে নতুন ভিসার ব্যবস্থা চালুর পর দেশটির যেখানে যেখানে দর্শনার্থীরা যেতে পারবেন, এরই এক ছোট তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
আল ওয়াহবাহ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ
মরুভূমির মধ্যে, তাইফ শহর থেকে প্রায় আড়াই শ কিলোমিটার দূরে পড়বে আল ওয়াহবাহ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ। বিশালাকৃতির মৃত জ্বালামুখটি প্রায় ৮২০ ফুট গভীর। এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিব্রাজকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জ্বালামুখটির নিচে নামতে এবং উঠতে দক্ষ পরিব্রাজকদের দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। যাঁদের জ্বালামুখটিতে নামার শখ নেই, তাঁরাও সদলবলে সেখানে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
প্রাচীন নগরী মাদাইন সালেহ
২০০৮ সালে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে মাদাইন সালেহর নাম ওঠে। প্রাচীন এই শহরে অনেকগুলো সমাধিক্ষেত্র রয়েছে। রয়েছে ছোট ছোট বেদি ও পোড়ামাটির ঘর।
ঐতিহাসিক জেদ্দা ও মক্কা গেট
ইউনেসকো ঘোষিত সৌদি আরবের আরেকটি বিশ্বঐতিহ্যের স্থান হলো গেট অব মক্কা, ঐতিহাসিক জেদ্দায় যার অবস্থান। সপ্তম শতকে জেদ্দা হয়ে
ওঠে ভারত মহাসাগরের বাণিজ্য রুটের প্রধান বন্দর। একই সঙ্গে মক্কায় যাওয়ার উদ্দেশে সাগরপথে আসা হজযাত্রীদের প্রবেশপথ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয় এটি।
রিয়াদের মাসমাক দুর্গ
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ১৮৬৫ সালে মাসমাক দুর্গ প্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু ৩৭ বছর পরের এক ঘটনার কারণে এটি সুপরিচিত হয়ে ওঠে। ১৯০২ সালে রাজপরিবারে নির্বাসিত সদস্য আবদুলআজিজ বিন আবদুল রাহমান বিন ফয়সাল আল সৌদ তাঁর পিতৃপুরুষের আদি শহর রিয়াদে ফেরেন এবং এই দুর্গ দখল করেন। এই দুর্গে ঘাঁটি গেড়ে এই অঞ্চলের অন্যান্য রাজ্য জয়ে বের হন তিনি। বর্তমানে যে রাজ্যগুলো সৌদি আরবের, তা আবদুলআজিজ বিন আবদুল রাহমান বিন ফয়সাল আল সৌদেরই জয় করা।
কিং ফাহাদ ঝরনা
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ঝরনা হলো জেদ্দার কিং ফাহাদের ঝরনা। রক্ষণশীলেরা বলে থাকেন, প্রয়াত রাজা ফাহাদ শহরটিতে এই ঝরনা উপহার দেন। রাতে এই ঝরনায় পাঁচ শর বেশি বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করানো হয়। এখন চাইলেই ভ্রমণপিয়াসী দর্শনার্থীরা এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।