স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব দুর্বল হবে।
আজ সকালে নয়া পল্টনে অনশন অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অনশনে অংশ নেন। সকাল ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চলবে।
রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করেছেন। এক ভয়ঙ্কর মাষ্টারপ্লান বাস্তবায়নের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করেছেন। তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বলছেন যে মার্কিন মন্ত্রী উজয়া জায়া অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের কথা বলেননি। বিএনপি বিদেশীদের কাছ থেকে ঘোড়ার ডিম পেয়েছে। তাহলে আপনারা ইইউ ও পশ্চিমা দেশের প্রতি এত ক্ষুব্ধ কেন? আসলে ওবায়দুল কাদেরদের মনের মধ্যে কাল বৈশাখির ঝড় বইছে। ক্ষমতার হারানোর ভয় ঢুকছে। আমি বলতে চাই, এবার আর রক্ষা পাবেন না। তাদের পতন সুনিশ্চিত।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাহলে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চান কেন? সংবিধানের দোহাই দিয়ে ২৪ ঘণ্টা বাউল সঙ্গিত গান কেন? আমি পষ্কিার বলতে চাই, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এ সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
রিজভী বলেন, তারা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহ্য করতে পারেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বামী তার বইয়ে বলেছেন আমরা মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে উৎসাহিত হয়েছি।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ ওলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের পরিচালানায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, জয়নাল আবদীন ফারুক, ভিপি জয়নাল আবেদীন, শাহজাদা মিয়া,যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির মুক্তযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব) জয়নাল, মুক্তযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী আবুল হোসেন প্রমুখ।