স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতের মুম্বাইয়ের মীরা রোডের একটি বাসা থেকে এক নারীর পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। বুধবার (৮ জুন) ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মনোজ সাহানি (৫৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বাই পুলিশ।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত মনোজ সাহানির সঙ্গে দীর্ঘদিন একত্রে বাস করতেন ৩৬ বছর বয়সী সরস্বতী বৈদ্য। মুম্বাইয়ের মীরা রোডের গঙ্গানগর অঞ্চলের আকাশদীপ নামের একটি আবাসনে তিন বছর ধরে ভাড়া থাকতেন তারা। মনোজ এবং সরস্বতীর ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ আসতে থাকায় স্থানীয় থানায় খবর দেন আবাসনের অন্য বাসিন্দারা। পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাট থেকে সরস্বতীর পচাগলা দেহাংশ উদ্ধার করে। ফ্ল্যাটের অন্য প্রান্তে পাওয়া যায় আরো কিছু দেহাংশ। মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত বজবলে বলেন, মনোজ সাহানি এবং সরস্বতী লিভ টুগেদার করতেন। কিছু বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল তাদের মধ্যে। পরে সরস্বতীকে হত্যা করা হয়।
তার দেহ টুকরো টুকরোও করা হয়। যখন আমরা বাড়িতে পৌঁছে দরজা খুললাম, তখনই বুঝতে পারলাম এটি একটি হত্যাকাণ্ড। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি প্রমাণ লুকানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, তাদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকলেও সম্প্রতি কিছু বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। তারপর সরস্বতীকে কুপিয়ে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করেন মনোজ। এমনকি তার দেহাংশকে কুকারে ফোটানো হয়! খুনের পর প্রমাণ লোপাট করার জন্যই এই কাজ করেছিলেন মনোজ। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বুধবার সন্ধ্যায় সরস্বতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দুই থেকে তিন দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ বলছে, হত্যার পর তিন দিন মরদেহ বাসায় রাখা হয়। আর অভিযুক্ত সেখানেই বসবাস করছিল। সূত্র : কালের কণ্ঠ