স্বদেশ ডেস্ক:
তীব্র উত্তেজানার মধ্যে চীনের দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী শানডং পশ্চিম প্যাসিফিকে মহড়ায় নিয়োজিত হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সাথে চীনা প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ-ওয়েনের বৈঠকের পর তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
তাইওয়ানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কো-চেঙ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, বিমানবাহী রণতরীটি তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) দূরে ছিল।
চীনের নিজস্বভাবে তৈরী প্রথম বিমানবাহী রণতরী শানডং বুধবার তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেল দিয়ে প্যাসিফিকে পাঠানো হয়। এর সাথে চীনা নৌবাহিনীর আরো কয়েকটি জাহাজ ছিল।
চীনের রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস জানায়, এই মোতায়েন প্রমাণ করে যে ‘শানডং সামুদ্রিক অভিযানের জন্য পূর্ণভাবে তৈরী এবং চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা নিরাপদ করতে প্রস্তুত।’ রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানায়, পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড গত সপ্তাহে স্থলভাগে ‘ব্যাপক মহড়া’ আয়োজন করেছে এবং সাগর ও আকাশেও তা করেছে। এই কমান্ড চীনের পূর্ব উপকূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
ক্যালিফোর্নিয়ায় তাইওয়ানি প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ম্যাকার্থির সাথে বৈঠকের পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চীন আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নেতার সাথে সাক্ষাত করে তবে কঠোর পরিণাম ভোগ করতে হবে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বৈঠকের পর দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি বৈঠককে ক্যালিফোর্নিয়ার সূর্যোদয়ের মতো উষ্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আর ম্যাকার্থি সাইকে ‘আমেরিকার মহান বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তাদের আলোচনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকাথি যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা আবারো উল্লেখ করেন।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বেলিজ ও গুয়েতেমালা সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতির সময় এই বৈঠক হয়।
তাইওয়ানের সাথে ১৯৭৯ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই। তবে তাইওয়ানের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী হলো যুক্তরাষ্ট্র।
আর চীন বৃহস্পতিবার আবারো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানায়, তাইওয়ান হলো ‘প্রথম লাল রেখা, এটি কোনোভাবেই চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মধ্যে অতিক্রম করা যাবে না।’
সূত্র : আল জাজিরা