বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর গুলিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ২৮ জন নিহত

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর গুলিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ২৮ জন নিহত

স্বদেশ ডেস্ক:

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি বলেছে, একটি বৌদ্ধ মঠে আশ্রয় নেয়া অন্তত ২৮ ব্যক্তি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে।

কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্সের (কেএনডিএফ) পোস্ট করা একটি ভিডিওতে কিছু লাশ দেখা যাচ্ছে, দৃশ্যত যাদের দেহে গুলির ক্ষত রয়েছে।

নিহতদের মধ্যে বেশকিছু লোকের গায়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কমলা পোশাক রয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় শান প্রদেশের নাম নিন গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

বিবিসি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, দু’বছর আগে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে সে দেশে সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াই চলছি, এবং ইদানীং তার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজধানী নেপিদ এবং থাইল্যান্ডের সীমান্তের মধ্যবর্তী এই অঞ্চলে কিছু বড় ধরনের লড়াই হয়েছে।

গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে জঙ্গি বিমান এবং কামান দিয়ে গোলাবর্ষণের পর সেনাবাহিনী ওই গ্রামে প্রবেশ করে এবং গ্রামের একটি মঠের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মানুষজনকে হত্যা করে বলে কেএনডিএফ জানিয়েছে।

ওই গোষ্ঠীর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ২১টি লাশ মঠের ভেতরে স্তূপ করে রাখা হয়েছে।

এদের মধ্যে তিনজনের গায়ে রয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কমলা পোশাক। দেহগুলোতে একাধিক গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

মঠের দেয়াল বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় একটি পত্রিকা কান্তারওয়াদ্দি টাইমস কেএনডিএফের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘মনে হচ্ছে যে (সেনাবাহিনী) তাদের মঠের সামনে লাইন করে দাঁড় করায় এবং সন্ন্যাসীসহ সবাইকে নির্মমভাবে গুলি করে মারে।’

কেএনডিএফ বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা ছোট ওই গ্রামটির কাছাকাছি আরেক জায়গা থেকে বাকি সাতজনের লাশ খুঁজে পেয়েছে।

এ ধরনের ঘটনার সত্যতা যাচাই করা কঠিন, তবে মিয়ানমারের এই অঞ্চলে, যেখানে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ দেখা গেছে, সেখানে নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে এমন বর্বর আক্রমণ নতুন ঘটনা নয়।

নাম নিন গ্রামটি শান প্রদেশ কায়াহ প্রদেশের দিকে একটি প্রধান রাস্তা।

সামরিক বাহিনী মনে করে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট।

সূত্র : বিবিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877