প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হতে পারে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘একটি কারণ হতে পারে বর্ষা, সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি ছিল। আবার ধান কাটার একটা মৌসুম ছিল। আমরা জানার চেষ্টা করেছি। আমাদের বলা হয়েছে, অনেকেই ধান কাটতে থাকায় ওনারা ভোট দিতে আসেননি। তা ছাড়া সকালে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে, এটা একটা কারণ হতে পারে।’
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন শেষে আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, আজকে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে যে তথ্য পেয়েছি, সে অনুযায়ী নির্বাচন ভালোভাবেই অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কিছু সংঘর্ষ, কিছু আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে, সীমিত কয়েকটি জায়গায় কিছু অনিয়ম হয়েছে। যে কারণে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রশাসন, পুলিশ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন এবং দায়িত্ব পালনে তৎপর ছিলেন। তাঁরা পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালোই ছিল। আমি বলব, না যে কোথাও কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু কিছু খুবই বিক্ষিপ্ত সীমিত পর্যায়ে ঘটনা ঘটেছে।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, পার্সেন্টজ। আপনাদের জানা উচিত, ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট সিস্টেমে যেটাকে মেজোরিটেরিয়ান সিস্টেম বলে, এখানে ২ পার্সেন্ট ভোট আর ৬০ পার্সেন্ট ভোট… ভোটার বেশি এলে অবশ্যই উৎসাহব্যঞ্জক, যদি আরও ভালো ভোট হতো সেটি ভালো হতো। কিন্তু বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে হচ্ছে, আমরা গণনা করে কে বেশি ভোট পেয়েছেন, তাকে বিজিত ঘোষণা করা।’
আজ সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপের এ উপজেলা নির্বাচনে মোট ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়। এর মধ্যে ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট গ্রহণ হয়েছে।