স্বদেশ ডেস্ক: নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায় আটকের পর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আওলাদ হোসেন মিঠুন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় অস্ত্রসহ তার তিন সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, নিহত মিঠুন মাধবদীর চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক সংক্রান্ত ১২টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে মাধবদী শহরের টাটাপাড়া মহল্লার একটি বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিঠুন মাধবদী থানার টাটাপাড়া মহল্লার জাকির হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- টাটাপাড়ার দুলাল মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২০), জহিরুল ইসলামের ছেলে মাইনুল ইসলাম (২৪) ও হারুন রশিদের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নরসিংদী জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আবদুল গাফফার জানান, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিঠুনকে তার সহযোগী সোহেলসহ নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন এলাকা থেকে আটক করা হয়। রাতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে মিঠুনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে টাটাপাড়ায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মিঠুনের সহযোগীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে অন্যরা পালিয়ে যান।
পরে ঘটনাস্থলে মিঠুনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মিঠুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে মিঠুনের তিন সহযোগীকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি পাইপগান ও আট রাউন্ড গুলিসহ আটক করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।