স্বদেশ ডেস্ক:
চিনি একটি রাসায়নিক উপাদান। শিল্প-কারখানায় রিফাইনিং পদ্ধতিতে আখের রস থেকে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি উপাদান দূর করে চিনি (সুক্রোজ) তৈরি করা হয়। চিনি তৈরির প্রক্রিয়া অনেকটা হেরোইন তৈরির মতো।
হেরোইন তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে পপি গাছের বীজ থেকে অপিয়াম আলাদা করা হয়। তারপর তা রিফাইন করে মরফিন এবং মরফিন রিফাইন করে তৈরি হয় হেরোইন। একইভাবে আখ বা বিট থেকে রস বের করে তা রিফাইন করে তৈরি হয় মোলাসেস। তারপর এটি রিফাইন করে তৈরি হয় ব্রাউন সুগার এবং সবশেষে রিফাইন করে সাদা স্বচ্ছ চিনি তৈরি হয়।
গবেষণায় চিনি বহু রোগের কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে। দেহের খনিজ লবণের ভারসাম্য নষ্ট করে। ক্যানসার ঝুঁকি বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি কমায়, অ্যাসিডিটি তৈরি করে, অকালে বার্ধক্য আনে। অ্যাজমা, পিত্তপাথর, লিভার টিউমার, অশ্ব, দন্ত, অ্যালার্জি, চোখের ছানি, মাইগ্রেন, স্মৃতিলোপ, গ্যাস্ট্রিক, আর্থ্রাইটিস, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অসংখ্য রোগের কারণ চিনি। আমাদের খাদ্যতালিকায় যে শর্করা থাকে, তা দেহের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। প্রথমে এ চিনি গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। পরে দেহে শক্তি উৎপাদন করে।
দেহ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি গ্রহণ করলে তা দেহের জন্য ক্ষতি। আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, কার্বোনেটেড ড্রিংকস ও অন্যান্য সফট, এনার্জি ড্রিংকস এবং প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন খাবারে অতিমাত্রায় চিনি থাকে। অনেক ক্যানসার রোগীর অবস্থা উন্নত হয় শুধু ক্যানসার ফুয়েল গ্লুকোজের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে। ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডায়েট, ব্যায়াম, সাপ্লিমেন্ট, মেডিকেশন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করে ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা যায়।