স্বদেশ ডেস্ক:
কাজাখস্তানের আকতাউ শহরে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। ২৫ জন যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন গুরুতর আহত। আহতদের মধ্যে ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে। দেশটির জরুরি মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্স পরিচালিত এমব্রায়ার ১৯০ মডেলের বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। তবে গ্রোজনিতে ঘন কুয়াশার কারণে বিমানটিকে আকতাউ শহরের দিকে রুট পরিবর্তন করতে হয়। আকতাউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগে কোনো এক অজানা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিমানটি জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানায়। তবে বিমানটি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগেই তিন কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিমানটিকে ভয়ংকর অবস্থায় আকাশে উড়তে দেখা যায়। কখনও এটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলেও, শেষমেশ ভয়াবহভাবে মাটিতে আছড়ে পড়ে। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়।
বিধ্বস্ত স্থানে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা কয়েকজন রক্তাক্ত অবস্থায় হেঁটে আসছেন। এক বৃদ্ধ মাথায় আঘাত নিয়ে খুঁড়িয়ে বের হচ্ছেন, আরেক তরুণী ধ্বংসস্তূপের কাছে হতবিহ্বলভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। জরুরি সংস্থার কর্মীদের একটি শিশুকে সাহায্য করতে দেখা যায়। তার গায়ের পোশাকে রক্ত ও ধুলা ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, বিমানটির ভাঙা ফিউজলাজ এবং লেজ বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে। ধূলিময় মাঠের মাঝে দুর্ঘটনার চিহ্ন স্পষ্ট। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কাজাখ জরুরি সেবাদানকারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তদন্তকারীরা দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করেছেন।