স্বদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই চরম রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে ইতালি সরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজির দল ‘ইতালিয়া ভিভা’ বর্তমান জোট সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করায় এ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে ইউরোপের দেশটি। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত আস্থাভোটে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বিজয়ী হয়েছেন। তবে, শুধু নিম্নকক্ষে জয় পেলেই চলবে না, তাকে উচ্চকক্ষ সিনেটেও জয় পেতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দেশটির স্থানীয় সময় রাতে উচ্চকক্ষ সিনেটে বৈঠক হবে। সেখানেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলে ইতালির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে।
অনুষ্ঠিত আস্থাভোটে জুসেপ্পে কন্তের পক্ষে ৩২১ জন সংসদ সদস্য ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ২৫৯টি। এতে করে নিম্নকক্ষে জয় পান জুসেপ্পে।
এর আগে পদত্যাগ করে জোট থেকে সড়ে দাঁড়ান ইতালিয়া ভিভা দলের দুই মন্ত্রী। এতে নিম্নকক্ষে আস্থাভোটের প্রয়োজন দেখা দেয়। তবে তার পূর্ণঙ্গ বিজয় হবে ইতালির উচ্চকক্ষ সিনেটে। আজ মঙ্গলবার সিনেটের বৈঠকে উচ্চকক্ষের আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে জুসেপ্পে কন্তে জয় পেলে ফের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন।
ইতালির গণমাধ্যমগুলো বলছে, করোনায় বিপর্যস্ত দেশটিতে রাজনৈতিক সংকটে কিছুটা বিব্রত প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। ভিত্তিহীন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধভাবে ইতালির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্যে দল মত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে জুসেপ্পে কন্তে বলেন, ‘মহামারির কারণে ইতোমধ্যেই আমরা একটি সংকট পার করছি, এর মাঝেই রাজনৈতিক সংকট দেশটিতে গভীর হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
এদিকে, সিলভিও বের্লুসকোনির ডানপন্থী দল ফরছা ইতালিয়ার রেনাটো পোলভেরিনি নিজের দলের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভোট প্রদান করে দল ছেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও বামপন্থী দল পিডির নেতা জিঙ্গারেত্তি সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে এই মূহুর্তের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইতালিয়া ভিভার প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি বলেছেন ‘সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমরা সিনেটে দেখব।’
সোমবার নিম্নকক্ষের আস্থাভোটে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের বিজয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ইতালিতে বসবাসরত অন্যান্য প্রবাসীরা।