শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬০০০ ছাড়িয়েছে

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬০০০ ছাড়িয়েছে

স্বদেশ ডেস্ক: সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বেসরকারি হিসাবে কয়েকগুণ বেশি। অন্যদিকে প্রতিদিনই আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারা  যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। ঈদের ছুটিতে কমপক্ষে ১২ জন মারা গেছে। মৃতের সংখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ পর্যন্ত ৪০ ষোষণা করলেও বেসরকারি হিসাবে তিনগুণের বেশি। এদিকে রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৮৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকায় ৭৫৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ১২৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহে দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সাতদিনে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৭ই আগস্ট ছিল ২ হাজার ৪২৮ জন, ৮ই আগস্ট ২ হাজার ৩২৬, ৯ই আগস্ট ২ হাজার ২, ১০ই আগস্ট ২ হাজার ১৭৬, ১১ই আগস্ট ২ হাজার ৩৩৪, ১২ই আগস্ট ২ হাজার ৯৩, ১৩ই আগস্ট ১ হাজার ২০০ এবং গতকাল ১ হাজার ৮৮০ জন। সুতরাং গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গু রোগে ভতির সংখ্যা কমেছে। চলতি আগস্ট মাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ হাজার ৮৯০ জন। এই সংখ্যা গত জুলাই মাসে ছিল ১৬ হাজার ২৫৩ জন। জুনে ছিল এক হাজার ৮৮৪ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, এপ্রিলে ৫৮ জন,  মার্চে ১৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮ জন এবং জানুয়ারিতে ৩৮ জন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী ৭ হাজার ৮৬৯ জন, যার মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ১৪৩ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৭২৬ জন। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালগুলো থেকে ৩৮ হাজার ৪৪২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ভর্তি ছিলেন মোট ৪৬ হাজার ৩৫১ জন। মৃতের পরিসংখ্যানে দেখা যায, আগস্টে ১০ জন, জুলাইতে ২৪ জন, জুনে ৪ জন,  এপ্রিলে ২ জন।

কিশোরগঞ্জে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২
আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন সিআইডিতে কর্মরত কিশোরগঞ্জের সন্তান জামাল আহমেদ। গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  এর আগের দিন রোববার দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন কিশোরগঞ্জের কলেজ ছাত্র ফরহাদ আহমেদ। তাদের মধ্যে জামাল আহমেদ কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ মনিপুরঘাট এলাকার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি সিআইডি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে ফরহাদ আহমেদ জেলার ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাঁক হাটির পল্লী চিকিৎসক ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মৃত্যুতে দু’টি পরিবারে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়।

কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ মনিপুরঘাট এলাকায় জামাল আহমেদ এর বাসায় গিয়ে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত ৮ই আগস্ট বিকালে মালিবাগের সিআইডি অফিসে দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান জামাল আহমেদ। সাথে সাথে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জামাল আহমেদ বাসায় ফিরলেও প্রচণ্ড মাথা ব্যথা অনুভব করায় পরদিন ৯ই আগস্ট উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তার। সংকটাপন্ন অবস্থায় রোববার ভোর রাতে এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে ঈদের দিন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জামাল। রাতে মরদেহ কিশোরগঞ্জের বাসায় নিয়ে আসার পর পরের দিন মঙ্গলবার বাদ জোহর মনিপুরঘাট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জামাল আহমেদ দ্বিতীয়। স্ত্রী সালমা আক্তার শান্তি এবং দুই পুত্র সন্তান সাজিদুর রহমান শাওন (১৫) ও সামিউল আহমেদ লিমন (১১) কে নিয়ে ছিল তার সাজানো সংসার। থাকতেন আব্দুল্লাহপুরের সিআইডি কোয়ার্টারে। বড় ছেলে সাজিদুর রহমান শাওন টঙ্গীর সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আর ছোট ছেলে সামিউল আহমেদ লিমন একই প্রতিষ্ঠানের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
ছোট ছেলে সামিউল আহমেদ লিমন কাঁদতে কাঁদতে জানায়, গত ৮ই আগস্ট অফিস শেষে বাসায় ফিরে তাদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করার কথা ছিল তার বাবার। দুই ভাইকে নতুন পাঞ্জাবি কিনে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পাঞ্জাবি আর কেনা হয়নি তাদের।

জামাল আহমেদ এর ছোট ভাই রুমান আহমেদ জানান, ঈদের পর দিন ছুটিতে কিশোরগঞ্জের বাসায় আসার কথা ছিল তার ভাইয়ের। ঈদের পর দিন প্রিয় ভাইটি বাসায় ঠিকই ফিরেছেন, কিন্তু নিথর দেহে চিরদিনের ছুটি নিয়ে।
রুমান জানান, কোরবানির জন্য তারা গরু কিনে রেখেছিলেন। কিন্তু ভাইয়ের সঙ্কটাপন্ন অবস্থার কারণে ঈদের দিন কোরবানিও দেয়া হয়নি তাদের। এমন হাসিখুশি আর বন্ধু-বৎসল ভাইটি এভাবে তাদের ছেড়ে চলে যাবে, ভাবতেই পারেননি তারা!

এদিকে ঈদের আগের দিন (১১ই আগস্ট) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কলেজ ছাত্র ফরহাদ হোসেন (২০)। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের বাসায় থেকে কলেজে পড়তেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন চিকিৎসা নেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১০ই আগস্ট তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বিকালে তাকে সেখানে ভর্তি করার পর পরদিনই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। ঈদের আগের দিন এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ফরহাদের পরিবাওে শোকের ছায়া নেমে আসে। ঈদের আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে।

ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক কামদা প্রসাদ সাহা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তানজিদ (৯) নামে এই শিশুটির মৃত্যু হয়। তানজিদ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি এলাকার ভ্যানচালক জাহিদ মোল্লার ছেলে। তিন দিন জ্বরে ভোগার পর  রোববার তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে তার ফুপু রিনা বেগম জানান। পরিচালক কামদা প্রসাদ বলেন, তানজিদ তাদের মধুখালীর বাড়িতে থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হল বলে তিনি জানান। অন্য দুইজনের মধ্যে লিপি আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ গত ৯ আগস্ট আর শারমীন (২২) নামে এক তরুণী ১লা আগস্ট মারা যান।

কোটালীপাড়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কোটালীপাড়ায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রাসেল খন্দকার (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাসেল খন্দকার কোটালীপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ী গ্রামের শেরজন খন্দকারের ছেলে।
রাসেল খন্দকার ঢাকায় একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করত। সেখানে তার জ্বর হলে ডাক্তার দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার কোটালীপাড়ায় গ্রামের বাড়ি চলে আসে। বাড়ি ফিরে আসার পর তার জ্বর না কমলে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে রক্তক্ষরণ দেখা দিলে রোববার তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে ডেঙ্গু রোগ হয়েছে বলে জানান এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, তাদের হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১২৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জে শিশুর মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অভিজিৎ সাহা (১১) নামে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঈদের দিন  শেষে রাত একটায় রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধুপখোলায় আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির  মৃত্যু হয়। অভিজিৎ সাহা শহরের আমলাপাড়ার মন্টু সাহা ও পদ্মা সাহা দম্পতির ছেলে। সে চাষাঢ়ায় ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাউন্টেন একাডেমীর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিজিতের বাবা মন্টু সাহা জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গত বৃহস্পতিবার রাতে গেন্ডারিয়ার ধুপখোলায় আজগর আলী হাসপাতালে অভিজিৎকে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে অভিজিতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। পরে সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যু হয় তার। নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ অভিজিতের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে।
শিবচরে বৃদ্ধের মৃত্যু
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, শিবচরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজী আবদুল মজিদ (৭৫) নামে আরো এক রোগী মারা গেছেন। তিনি গত এক সপ্তাহ ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ছিলেন। গত রাত একটার দিকে সে শিবচরের নিজ বাড়িতে মারা গেছেন।

মৃত রোগীর ছেলে এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার আব্বাকে গত এক সপ্তাহ ঢাকার  সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। তার শরীরে প্লাটিলেট ২০ হাজার ছিল। ঢাকা থেকে শিবচরে গতকাল সন্ধ্যার দিকে আসেন। এবং রাত একটার দিকে সে মারা যায়। এই নিয়ে মাদারীপুরে এখন পর্যন্ত ৬ জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন। যার মধ্যে কালকিনি ও শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই এবং ৪ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, বরিশাল মেডিকেল কলেজ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল।
ঝিনাইদহে  ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৪২
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন ১৪২। গতকাল দুপুর পর্যন্ত নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৯ জন। এই নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৭ জন্য। ৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ১০৭ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব আলী এই তথ্য জানান। হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ আব্দুল কাদের জানান, সারা জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সরকারী হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি হবে। তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে শিশু, পুলিশ, প্রকৌশলী, ব্যাবসায়ী ও সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী মসিউর রহমান রয়েছেন। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে গত ৬ই জুলাই প্রথম ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হওয়ার পর এই ৩৮ দিনে গড়ে প্রতিদিন ৩.৭৩ জন করে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে মৃত্যুর কোন রেকর্ড নেই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877