স্বদেশ ডেস্ক: ‘কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে যখন দেশের মানুষ ক্ষোভে দুঃখে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলল ঠিক তখনই পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া রপ্তানির ঘোষণা দিল অন্ধকারের সরকার। গরিব, মিসকিন, এতিমদের হক মারার পর কার স্বার্থোদ্ধারে তড়িঘড়ি করে এই রপ্তানির ঘোষণা দেওয়া হলো তা দেশের মানুষ জানতে চায়।’
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘একদিকে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে কম টাকায় চামড়া কিনে এতিম মিসকিনদের পেটে ভয়বহ নিষ্ঠুরতায় লাথি মারা হলো, অন্যদিকে এখন আবার কাঁচা চামড়া বিদেশে রপ্তানির সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্পকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। সবই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং সিন্ডিকেটের লুটপাটের জন্য মহাকারসাজি। এই চামড়াই আবার দেখা যাবে অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হবে চড়ামূল্যে। কাঁচা চামড়া রপ্তানি হলে শতভাগ দেশীয় শিল্প অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এবং এই শিল্পে হাজার হাজার কোঢি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।’
তিনি বলেন, ‘দানের চামড়াগুলো দিয়েই মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো চলে। তারা এবার বিপাকে পড়েছে। ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকরা যখন ধানক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল, ঠিক তখনই বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ট্রাক বোঝাই চালের দৃশ্য দেখতে হয়েছিল। যেমন করে ধান পুড়িয়ে অন্য দেশ থেকে আনা চাল খেতে হয়েছে, ঠিক তেমনি করেই চামড়াশিল্প ধ্বংস করে পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া প্রতিবেশী দেশে রপ্তানি করতে হচ্ছে। ঠকছে কৃষক, ঠকছে এতিম-গরীব-মিসকিন। জিতছে লুটেরা, জিতছে সিন্ডিকেট আর তাদের সতির্থরা। ক্ষতি হবে এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেক লোক। বেকার হয়ে পড়বে এর সঙ্গে জড়িতে বিপুল সংখ্যক মানুষ। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’