শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প বাংলাদেশ মিশনে হামলা, হিন্দু সংগঠনটির বয়স ১ সপ্তাহ! আজ থেকে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব? তারেক রহমানের দেশে ফেরা-আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও আছে রাজনৈতিক সমীকরণ রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক থেকে বেরিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন : হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ধর্ম ও মতের পার্থক্য থাকলেও আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য : প্রধান উপদেষ্টা
একীভূত হবে দুর্বল ব্যাংক

একীভূত হবে দুর্বল ব্যাংক

স্বদেশ ডেস্ক:

চলতি অর্থবছরের বাজেটে আর্থিক খাতের ব্যাপক সংস্কার ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখানে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে একটি কমিশন গঠন ও ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার কথা বলা হয়। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের জন্য প্রণোদনা প্রদান, গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলো অর্থনীতির পাওয়ার হাউস হিসেবে গড়ে তোলা, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলা হয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এর প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অবস্থা এবং সামগ্রিক পারফরম্যান্স মূল্যায়নে একটি প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। একই সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোর একটি তালিকাও করা হবে। পাশাপাশি বর্তমানে দেশে সুনির্দিষ্টভাবে একীভূতকরণ (মার্জার আইন) না থাকায় ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হবে। এ আইন সংশোধন করে ব্যাংক বা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে মার্জ করার বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। দুর্বল ব্যাংকের তালিকা প্রণয়ন ও ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন দুটি কাজই একই সঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনা অনুসারেই কাজ করা হবে।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পারফরম্যান্স বিচারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বছর বছর লোকসান গুনলেও  বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা বাড়ছে। অন্যদিকে বেসরকারি অনেক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল। ফলে আমানতকারীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অনেক ব্যাংকই প্রতিযোগিতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে না। কীভাবে ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায়, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিবেচনা করতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877