স্বদেশ ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের মিত্র এবং আমাদের অংশীদারদের নিয়ে একসাথে, আমরা পুতিনের জন্য যন্ত্রণা বৃদ্ধি করতে এবং রাশিয়ার অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা আরো বাড়াতে অর্থনৈতিক খরচ বাড়ানো অব্যাহত রাখব।’

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এটি রাশিয়ার বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাবারব্যাঙ্ক এবং দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক, আলফা ব্যাংকের ওপর ‘সম্পূর্ণ অবরোধমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।’

হোয়াইট হাউজ বলেছে, তারা ‘রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলির উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।’ এছাড়া পুতিনের প্রাপ্তবয়স্ক দুই মেয়ে (মারিয়া ভরোন্তোসভা ও ক্যাটেরিনা টিখোনোভা) , পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের স্ত্রী ও কন্যা এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের এখতিয়ার সাপেক্ষে অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে রাশিয়াকে অবরুদ্ধ করবে। এই পদক্ষেপগুলির আগেই এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে ঋণ পরিশোধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার আটক তহবিল বিচ্ছিন্ন করে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বাইডেন তার মন্তব্যে বলেন, রাশিয়াকে শাস্তি দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো শুধুমাত্র এই বছরেই সে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনকে দুই অঙ্কে নামিয়ে আনবে এবং রাশিয়ার গত ১৫ বছরের অর্থনৈতিক সাফল্যকে মুছে ফেলবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, বিচার বিভাগ ইউক্রেনে কথিত যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় অংশীদারদের পাশাপাশি পররাষ্ট্র দফতরকে সহায়তা করছে।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল বুধবার বলেছেন, একটি নতুন ইইউ প্যাকেজে রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করবে।

তিনি বলেন, ‘এবং আমি মনে করি যে তেল, এমনকি গ্যাসের উপরও শিগগিরই বা পরে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হবে।’

ব্রাসেলসে দুই দিনের ন্যাটো আলোচনা শুরুর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ১০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে।

পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি জন কার্বি বলেছেন, এই সহায়তা ‘অতিরিক্ত জ্যাভলিন অ্যান্টি-আরমার সিস্টেমের জন্য ইউক্রেনের জরুরি প্রয়োজন মেটাবে, যা যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে প্রদান করে আসছে এবং তারা তাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরভাবে তা ব্যবহার করছে।’

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সংবাদদাতাদের বলেছেন, জোটের সদস্যরা সামরিক সরঞ্জাম এবং সাইবার নিরাপত্তা সহায়তা ছাড়াও মানবিক ও আর্থিক সহায়তাসহ ‘ইউক্রেনকে আরো সহায়তা প্রদানের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবার বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার বলেছে, মারিউপোল শহরে রাশিয়ার বিমান হামলার পাশাপাশি ওই অবরুদ্ধ শহরে প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে। সেখানে মানবিক পরিস্থিতি ক্রমশ “অবনতিশীল” হচ্ছে।

ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেছেন, ইউক্রেন বুধবার ১১টি ভিন্ন ভিন্ন মানবিক করিডোর দিয়ে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের পালাতে সাহায্য করার চেষ্টা করবে, তবে যারা মারিউপোলে আছেন তাদের নিজস্ব যানবাহনে পালাতে হবে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা